গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভোজ্য তেলের আমদানি কারক বা সরবরাহকারী মিল মালিকদের আমদানি তথ্য, মিলের মজুত ও সরবরাহ হিসাব মিলিয়ে দেখবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ শাহরিয়ার নেতৃত্বে অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের নিয়ে দু’একদিনের মধ্যে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
এছাড়া মিল গেট এলাকায় ট্রাকের সিরিয়াল নিয়ে অসাধু চক্রের চাঁদাবাজি বন্ধে স্থানীয় পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও সীমান্ত এলাকায় পাচার রোধে বিজিবিকে চিঠি দেওয়া হবে।
বুধবার (৯ মার্চ) ভোক্তা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ‘ভোজ্য তেলের মিল মালিকগণ ও বাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোক্তার ডিজি বলেন, সভায় বাজারে ভোজ্য তেলের সংকটের বিষয়ে উভয় পক্ষ মতামত তুলে ধরেছেন। তবে আজকের সভাতেও সমাধানে আসা সম্ভব হয়নি। এ সংকট তৈরিতে কারা জড়িত। তবে মিলার, ডিলার ও রিটেইলার (মিল মালিক, সরবরাহকারী ও খুচরা বিক্রেতা) একে অপরকে দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। এটি কোনো সমাধান নয়। বাজার অস্থিতিশীল করার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, সে যতই শক্তিশালী হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিকুজ্জামান বলেন, সভায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর মধ্যে প্রথমত- মিল গেটে ট্রাক থেকে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি ও ডিসিদের চিঠি দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত- পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা যে এসও (বিক্রয় রশিদ) দিয়ে থাকেন সেখানে কোনো মূল্য উল্লেখ থাকে না। এটি ক্ষতিয়ে দেখতে ভোক্তার পরিচালক শাহরিয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম মিল গেট এলাকায় আমদানি তথ্য ও সরবরাহ তথ্য মিলিয়ে দেখবেন। এতে অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। তৃতীয়ত- সীমান্ত এলাকায় তেল পাচার হচ্ছে কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) চিঠি দিয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ করা হবে। চতুর্থত- মিল মালিকদের নিকট বকেয়া যেসব এসও রয়েছে, সে গুলোসহ নতুন এসও আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে ডেলিভারি (সরবরাহ) করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- টিকে, মেঘনা, সিটি, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা। এসময় বাজার পরিস্থিতি বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। এছাড়া মিল মালিক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।