গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আগামী অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হার ১৫ শতাংশ কমানো, ন্যূনতম টার্নওভার কর প্রত্যাহার ও সিমের ওপর আরোপিত ২০০ টাকা কর বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।
বুধবার (০৯ মার্চ) সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এই প্রস্তাব দেন সংগঠনটির মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ। তিনি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোর কর হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং তালিকার বাইরে থাকা কোম্পানির কর হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অলাভজনক মোবাইল ফোন অপারেটরের ওপর ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার কর প্রত্যাহার বা যুক্তিসঙ্গত করার দাবিও জানান। তিনি বলেন, আয়কর প্রদান করা হয় আয়ের উপর, বিক্রয়ের/প্রাপ্তির উপর নয়। ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পরেও সর্বনি¤œ কর প্রদানের অর্থ হলো মূলধন হতে কর পরিশোধ করা।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, মোবাইল এয়ারটাইমে ৩৩.২৫ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হয়, যা প্রিপেইড প্রকৃতির। তাই, যে গ্রাহক প্রিপেইড এয়ারটাইম ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিজিটাল নন-টেলিকম পরিষেবা কেনেন, তাদের ১৬ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হয়। ভ্যাট আইন শুধুমাত্র ১৫ শতাংশ ভ্যাট সামঞ্জস্য করার অনুমতি দেয়। এজন্য ভ্যাট আইনে প্রয়োজনীয় বিধান সন্নিবেশ করার প্রস্তাব করা হয়।
বতমানে ডেটা পরিষেবায় সম্পূরক শুল্কের হার ১৫ শতাংশ এবং মূল্য সংযোজন করের হার ৫ শতাংশ বিদ্যমান । ডেটা পরিষেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং মূল্য সংযোজন কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আদর্শ কর হার বা ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করে এমটব। একইসাথে মোবাইল সিমের উপরে আরোপিত ২০০ টাকা কর বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়।
ফোর-জি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ভ্যাট প্রত্যাহারের সুযোগ চেয়ে এমটব মহাসচিব বলেন, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি এক বিশেষ আদেশ অনুযায়ী বিটিআরসিতে টু-জি ও থ্রি-জির রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ফোর-জির ক্ষেত্রেও এই সুযোগ অব্যাহত রাখা হোক।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, মোবাইল কাভারেজের বিস্তৃতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। তাই ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির অন্যতম শর্ত হচ্ছে মোবাইল খাতে কর কাঠামোর সংস্কার। করের মাত্রা কমিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে সহজেই ত্বরান্বিত করতে পারে সরকার। প্রস্তাবিত বিষয়গুলির উপরে নজর দেওয়া হলে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন এবং টেলিকম খাতে করের হার বাস্তবসম্মতভাবে কমানো হলে বিনিয়োগকারীরা আরও বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।