Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোটের দু’দিন পরেও ইভিএম পাহারায় ব্যস্ত অখিলেশরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ৪:৪৭ পিএম

মুখ চোখ বসা। দৃশ্যতই চাপে রয়েছেন এসপি-র সর্বাধিনায়ক অখিলেশ সিংহ যাদব। সোমবারের বুথফেরত সমীক্ষার পর বুধবার লখনউয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তার শরীর-ভাষা দেখে মনে হল, এত লড়াই দেওয়ার পরেও জয় সম্পর্কে নিশ্চিত নন তিনি।

বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম চুরির অভিযোগ তুলে বারবার তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “উত্তরপ্রদেশের এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। এই লড়াইয়ে হেরে গেলে দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের মতো করে যুদ্ধে নামতে হবে। দলের সমস্ত কর্মকর্তাকে বলছি, সতর্ক থাকুন। ভোট চুরি হতে দেবেন না।”

ভোটের লড়াই তো শেষ। তা হলে কোন লড়াইয়ের কথা বলছেন এসপি নেতা? এসপির এই শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, ভোট-চুরি রোখার লড়াই। রাত জেগে পাহারা দেওয়ার লড়াই। রাজনৈতিক শিবির বলছে, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হলে ফলাফলের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে এতটা আতঙ্কিত দেখাত না অখিলেশকে।

এসপির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, বারাণসীতে তিন বাক্স ইভিএম চুরির চেষ্টা প্রকাশ্যে এসেছে। গণনার দিন দু’য়েক আগে ট্রাকে চাপিয়ে ইভিএম চুরি করার চেষ্টা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন এসপি প্রধান ও তার জোটসঙ্গীরা। অখিলেশের দাবি, তাদের কর্মীরা ইভিএম ভর্তি একটি ট্রাক আটকেছেন। যদিও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দু’টি ট্রাক সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

তার প্রশ্ন, যদি কোনও সমস্যাই না থাকত, তা হলে ট্রাক দু’টি কেন পালিয়ে গেল? অখিলেশ আরও জানিয়েছেন, তাদের কাছে খবর রয়েছে, যোগী আদিত্যনাথের এক প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে বিজেপির হারের সম্ভাবনা, সেখানেই যেন গণনার গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। তার মতে, একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালেও।

গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, গণনাকেন্দ্রে কড়া নজর রাখতে। যাতে ইভিএম কেউ সরাতে না পারে। দেখা যাচ্ছে, এবার একই ঘটনা ঘটছে উত্তরপ্রদেশেও। সোমবারই শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। প্রচারের ক্লান্তি গায়ে মেখেই এ বার ইভিএম পাহারা দিতে নেমে পড়ছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা।

যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বারাণসীর জেলাশাসক কৌশলরাজ শর্মা। তার দাবি, ওই ইভিএমগুলি প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভোটে তা ব্যবহার করা হয়নি। শর্মার পাল্টা অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দল এ নিয়ে অযথা গুজব ছড়াচ্ছে। তার বক্তব্য, ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম সিআরপি-র নজরদারিতে স্ট্রংরুমে সিল করা রয়েছে। নজর রাখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও নজর রাখছেন।

শর্মা জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলি মান্ডির একটি গোডাউন থেকে বারাণসীর ইউপি কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যারা ভোট গণনার দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের প্রশিক্ষণের জন্যই ওই ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ইভিএমে নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হস্তিনাপুরের এসপি প্রার্থী যোগেশ বর্মা তুলে এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গই। তার প্রশ্ন, কী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে? বুথফেরত সমীক্ষায় আভাস দেওয়া হয়েছিল, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। সূত্র: এবিপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ