মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে রুশ ট্যাংক ও সামরিক যানের উপস্থিতি খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ট্যাংক ও সামরিক যান রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকাসহ ইউক্রেনের বহু শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
তবে এসব সামরিক যানের সবগুলোতেই বাইরের অংশে ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষর লেখা।
সামরিক যানগুলোর গায়ে রহস্যময় এই অক্ষর বা চিহ্ন ঠিক কী কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে বা এটি দিয়ে কী বোঝানো হচ্ছে? এসব প্রশ্নে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। এছাড়া কেবল রুশ সামরিক যানই নয়, ইউক্রেনে মস্কোপন্থিদের পোশাকেও রয়েছে এই ‘জেড’ চিহ্ন।
মূলত ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে পাওয়া নানা ভিডিও ফুটেজ আর ছবি থেকে উঠে এসেছে চমকপ্রদ এই তথ্য। আর রহস্যময় ‘জেড’ চিহ্ন নিয়ে কৌত‚হল ছড়িয়েছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে। প্রশ্ন হচ্ছে, এর অর্থ কী?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যালিনা স্তারোভোইতোভা ফেলো কামিল গালিভের তথ্য অনুযায়ী- ইউক্রেনের উদ্দেশে রুশ সামরিক যানগুলো ছেড়ে যাওয়ার আগে সেগুলোতে ‘জেড’ চিহ্ন লিখে রাখা হচ্ছে। অনেকে আবার জেড চিহ্নকে ‘জা পোবেডি’ (বিজয়) হিসেবে উল্লেখ করছেন। অনেকে আবার এটিকে ‘জাপাড’ (পশ্চিম) বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে মনে করছেন।
কামিল গালিভ আরও বলেছেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগে উদ্ভাবিত এই প্রতীকটি নতুন রুশ আদর্শ ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ অবশ্য রুশ এই প্রতীকের অনেক সমর্থক খুঁজে পাওয়া গেছে। রাশিয়ার অনেক বেসামরিক নাগরিক এবং ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় তাদের গাড়িতে ‘জেড’ চিহ্ন ব্যবহার করা শুরু করেছেন।
অবশ্য পর্যবেক্ষকদের অনেকেই আবার বলছেন যে, এই ধরনের চিহ্নগুলো রুশ সহযোদ্ধাদের যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব যানবাহন শনাক্ত করতে এবং ফ্রেন্ডলি ফায়ার এড়াতে সঙ্কেত হিসেবে কাজ করে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রুশ সামরিক যানগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্ক অঞ্চলে প্রবেশের পর সেগুলোর গায়ে প্রথম ‘জেড’ প্রতীকটি দেখা যায়। বেশ কিছু টুইটে দাবি করা হয়েছে যে, সামরিক বাহিনীর পদাতিক ইউনিটকে বোঝাতেই এই চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
মূলত, যুদ্ধক্ষেত্রে কোন পথ দিয়ে যেতে হবে, মুখোমুখি পড়ে যাওয়া ট্যাংক নিজের দেশের নাকি শত্রুপক্ষের, কোন ধরনের চিহ্ন দেখলেই আঘাত হানতে হবে, এসব বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের এমন সঙ্কেত যুদ্ধে বরাবরই কার্যকর। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, স্কাই নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।