পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসা সংখ্যা বাড়াতে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। মাদরাসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপে জটিলতা দেখা দেয়ায় কর্তৃপক্ষ এই বিধিনিষেধ জারি করে বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, ক্যাম্পে মাদরাসাগুলোর নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ঘটছে গুম-খুনের ঘটনাসহ নানা ধরনের অপরাধ। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত ৩৪টি ক্যাম্পে গড়ে ওঠা মাদরাসাগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া আরকান সলভেশন আর্মি (আরসা)’র বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ। এনিয়ে প্রায় সময় ক্যাম্পে সংঘটিত হয় গুম-খুনের মত কর্মকান্ড। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পগুলোতে নতুন করে আর মাদরাসা তৈরি না করাসহ ১৯টি নির্দেশনা দিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে উঠছে প্রয়োজনাতিরিক্ত অনেক মাদরাসা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের ভাষায় এসব মাদরাসাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় লার্নিং সেন্টার। অনেকে নিজের ঘরে গড়ে তুলেছে ছোটখাটো মাদরাসা। যেগুলোকে হোম বেইজড লার্নিং সেন্টার বলা হচ্ছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসার সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪৯৫টি। সে হিসাবে প্রতি ক্যাম্পে প্রায় ১৬২টি মাদরাসা রয়েছে।
নির্দেশনা মতে ক্যাম্পে থাকা মাদরাসাগুলো কারা তৈরি করছে। অর্থের যোগান কিভাবে হচ্ছে। সেখানে কারা শিক্ষকতা করছে। কি পড়ানো হচ্ছে সব তথ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দেয়া নির্দেশনাগুলো হলো-অনুমোদিত লার্নিং সেন্টারের সংখ্যা এবং সেখানে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত জিনিসপত্রের তালিকা শরণার্থী প্রত্যাবাসন অফিসে পাঠাতে হবে। শিক্ষক এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির যারা লার্নিং সেন্টারের সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে দশ হাজার টাকার বেশি প্রণোদনা দেওয়া যাবে না। লার্নিং সেন্টারগুলো শুধুমাত্র শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে। একজন শিক্ষক একটির বেশি লার্নিং সেন্টারে শিক্ষাদান করতে পারবেন না। নিজ ক্যাম্পের বাইরে অন্য ক্যাম্পে শিক্ষকতা করতে পারবেন না। ছাত্র-ছাত্রী একটির বেশি লার্নিং সেন্টারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। বার্মিজ ভাষার প্রশিক্ষক হিসাবে ঊর্ধ্বতন কোন পদবি থাকবে না।
ক্যাম্প মাদরাসা পরিচালনকারীদের বিস্তারিত তথ্য শরণার্থী প্রত্যাবাসন অফিসে জমা দিতে হবে। মাদরাসায় ভর্তি হতে অন্তত পাঁচ বছর বয়স হতে হবে। ঘরে ঘরে শিক্ষাকেন্দ্র থাকবে না। নিজেদের ইচ্ছেমতো মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত হবে। শরণার্থী প্রত্যাবাসন অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। ব্যক্তিগত মাদরাসা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে থাকা মাদরাসাগুলোতে এমসিপি (মিয়ানমার ক্যারিকুলাম পাইলট) কার্যক্রম পরিচালিত হবে। মাদরাসার সংখ্যা বাড়ানো যাবে না। মাদরাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মিয়ানমারের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত করানোর প্রয়োজনীয়তা উপর তাগিদ দেয়া হয়। তারা যেন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে তারা মিয়ানমার জাতি এবং তাদের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, তাদের বেশভ‚ষা এবং তাদের স্বতন্ত্র জীবন ধারার সংস্কৃতি বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষা পদ্ধতি মাদরাসাগুলোতে অনুসরণ করা যাবে না। বাংলাদেশের শিক্ষকগণ লার্নিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করবে এবং প্রতিটি লার্নিং সেন্টারে বার্মিজ ভাষায় প্রকাশিত ছড়া, গল্পের বই এবং কবিতা প্রবর্তন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।