Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রতারণার ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্রাইট ফিউচার

প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে : সাভারে ব্রাইট ফিউচার বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠান এমএলএম পদ্ধতিকে ব্যবহার করে তৈরি করেছে একটি প্রতারনার ফাঁদ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পরিচিতজনদের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশিদেরকে ফোন করে ডেকে আনা হচ্ছে ঢাকার সাভারে। এরপর তাদেরকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে ৮ হাজার টাকা বেতন ও বিনামূল্যে থাকা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জন প্রতি ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
গতকাল শনিবার বিকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের মফিজ প্লাজার ৫ তলায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৬০-৭০ জন ছেলেকে একটি কক্ষের মধ্যে আটকে প্রতারণার কৌশল শেখানো হচ্ছে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৮-২৪ এর মধ্যে। এরা প্রত্যেকেই ৩০ হাজার টাকা দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। এরই মধ্যে সেখানে আটক থাকা আনোয়ার হোসেন রনি ও হেলারের স্বজনেরা বিষয়টি বুঝতে পেরে শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে সাভারে এসে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সরণাপন্ন হন। ডিবি পুলিশ তাদের দেয়া বর্ণনা শুনে থানা পুলিশে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পরে হেলারের বাবা কাজল মিয়া সাভার মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চাইলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জাকারিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলাল ও রনিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে এসময় প্রতিষ্ঠানটির কোন কর্মকর্তা না থাকায় কাউকে আটক করা হয়নি।
হেলালের ভাই বাবু জানান, প্রচলিত বিক্রয় ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে ডাইরেক্ট মার্কেটিংয়ের নামে বিএফবি নামক কোম্পানিটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অল্প বয়সের ছেলেদেরকে ডেকে আনছে। পরে তাদেরকে চাকরি দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। সুযোগ বুঝে যে কোন সময় উধাও হয়ে যেতে পারে কোম্পানিটি।
টাকা ফেরতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে ছেলেদেরকে আটকে রেখে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদেরকে ফোন করে ডেকে আনা হতো। পরে তাদেরকেও প্রলোভন দেখিয়ে এখানে ভর্তি হতে বাধ্য করতো। ইচ্ছা করলেই কেউ বাড়িতে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারতোনা। যতটুকু বলতো লাউড স্পিকারে দিয়ে কর্তাদের সামনেই বলতে হতো। তাই কপাল ভালো অল্প থেকে রক্ষা পেয়েছি। যদি ওদেরকে মেরে ফেলতো কিংবা মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ চাইতো তাহলেওতো বড় সমস্যায় পড়তাম।
অফিসটির ইনচার্জ মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানা এলাকার ওয়াসিম বলেন, আমরা বৈধভাবে ব্যবসা করছি এবং করবো। ব্রাইট ফিউচার বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেডের (বিএফবি) মাধ্যমে একটি টিভি সরাসরি কারখানা থেকে এনে ভোক্তার কাছে বিক্রয় করছি। বিনিময়ে যে লাভ হচ্ছে তা আমরা সবাই বন্টন করে নিচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতারণার ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্রাইট ফিউচার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ