পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি ‘বাংলা কারস’র নাম ব্যবহার করে নিম্নমানের গাড়ি বাজারজাতের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক) অভিযোগটি অনুসন্ধানের সুপারিশ করে।
দুদক সূত্র জানায়, চীনের ডংফেং,ইন্দোনেশিয়ার ডিএফএসকে গ্লোরী জাপানের ইসুজুসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চুক্তি করে যন্ত্রাংশ আমদানির মাধ্যমে ‘বাংলা কারস’ উৎপাদন করছে ‘হোসেন গ্রুপ’। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে গাড়ি উৎপাদন ও সংযোজন করছে। ব্যাপক বিজ্ঞাপনসহ নানামুখী প্রচারণার কারণে বাংলা কার্স সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। দেশী-বিদেশী অনেক গণমাধ্যম বাংলা কারস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই সুযোগে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী ‘বাংলা কারস’র নাম ও লোগো ব্যবহার করে চীন থেকে নিম্নমানের গাড়ি এনে বাজারজাত করছে। এতে জনমনে গাড়ির ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে।
অনুসন্ধানের সুপারিশপ্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইন্দোনেশিয়ার ডিএফএসকে ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে জনৈক মো: মহসিনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নিম্নমানের গাড়ি এনে ‘বাংলা কারস’ নামে বিক্রি করছেন। চক্রের হোতা ঢাকার ২২২, তেজগাঁও গুলশান লিঙ্ক রোডে মা এন্টারপ্রাইজ’র মাধ্যমে নিম্নমানের গাড়ি বিক্রি করছেন। তার কর্পোরেট অফিসের ঠিকানা দেয়া হয়েছে ঢাকার পশ্চিম পান্থপথে।
অভিযোগের তথ্য মতে, সৈয়দ মহসিন ইসলামী কো-অপারেটিভ ব্যাংকের শত কোটি টাকা হংকং, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ) কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ‘লিয়া কার’এবং ‘ফরচুনা গ্লোবাল নামক প্রতিষ্ঠানকে ডিএফএসকে ব্র্যান্ডের গাড়ি সংযোজনের অনুমতি দিয়েছে। যা ‘বাংলা কারস’ নামে বেআইনিভাবে বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ মিৎসুবিসি স্পোর্টরম এসইউভি অ্যাসেমব্লিং করে। প্রগতি ছাড়া অন্য কারও মাধ্যমে ওই গাড়ি উৎপাদন সম্পুর্ণ অবৈধ ও বেআইনী। একইভাবে লিয়া কার বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বাংলা কার্স উৎপাদন করলে সেটাও হবে বেআইনী। এতে নকল প্রবণতা বাড়বে। যা দেশের অর্থনীতিকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করবে-মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। মানুষও প্রতারিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।