Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭ মার্চের ভাষণ গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্র সৃষ্টির মন্ত্রণা দেয় : প্রফেসর ড. মশিউর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৩৩ পিএম

৭ মার্চের ভাষণ গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্র সৃষ্টির মন্ত্রণা দেয় মন্তব্য করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন রাজনীতির কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা মন্ত্রের এক শিল্পী ও বিজ্ঞানী। সোমবার (৭মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, ৭ মার্চের আলোচনা আমরা এরআগেও করেছি। এই জাতীয় আলোচনার মাধ্যমে আমরা আমাদের চেতনাকে শাণিত করতে পারি। এই সব আলোচনার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমরা যেন আমাদের আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে পারি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অগণতান্ত্রিক সামরিক বাহিনী শাসনামলে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ শুনলে সামরিক শাসন স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। সেকারণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সেদিন বাজাতে দেয়া হয়নি। অথচ সেই ভাষণটিই আজ ইউনেস্কো ‘বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিল। কেন দিল? এই ভাষণ কি শুধু বাঙালির মুক্তির পথ নির্দেশনা? এটি কি শুধু বাঙালির জন্য অনুপ্রেরণা? এটি কি শুধু উপমহাদেশের অমোঘ বাণী। এটি কি শুধু জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির একটি নির্দেশনা? মোটেও তা নয়। এটি একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির চাইতেও বড় কিছু।

ভিসি বলেন, যারা বলেন- ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু কেন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। যারা সমালোচনা করে তারা অজ্ঞতার জন্য করে। ২৬ মার্চ যা বলেছেন বঙ্গবন্ধু, তা যদি ৭ মার্চের ভাষণে বলতেন, তাহলে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হতো কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণে যে প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়ার প্রয়োজন ছিল সেটি তিনি দিয়েছেন। কোটি কোটি মানুষের সামনে ক্রেডিট নেয়ার জন্য আবেগে অনেক কিছুই বলে দিতে পারতেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি তা করেননি। কেন তিনি কৌশলী হলেন? কারণ তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হননি। তিনি চেয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানকে রাজনৈতিকভাবে নস্যাৎ করতে। আর তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতে।

প্রফেসর মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ইউনিলেটারেল ডিকলারেশন অব ইন্ডিপেনডেন্স এ যেতে চাননি। তিনি যদি ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন, তাহলে বিশ^বাসীর সমর্থন পেতাম কিনা তা এক বড় প্রশ্ন ছিল। এটিই তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এসএ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শফিকুর রহমান এমপি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এজে শফিউল আলম ভুঁইয়া, উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আশফাক হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ