পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এবং তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পুন:অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে এ তথ্য জানান সংস্থার কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান। আদালতকে তিনি জানান, যেহেতু অনুসন্ধানটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং আদালত এ বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন-সেহেতু অভিযোগটির পুন:অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই কমিশন তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে। দুদকের প্রতি জারিকৃত রুলের শুনানিকালে আদালতকে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় ‘দৈনিক ইনকিলাব’র বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদ’র পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানিতে অংশ নেন।
রুল শুনানির বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ২০২১ সালের ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে ‘দুদক স্টাইল’শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওই বছর ৮ মার্চ বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানিকালে আদালত প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখিত তথ্যের উৎস জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, হুইসেল ব্লোয়ার প্রটেকশন আইন অনুসারে আদালত সোর্স জানতে চাইতে পারেন না। প্রতিবেদক সোর্সের নাম জানাতে বাধ্য নন। এটি স্বাধীন,অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পরিপন্থি। তবে আদালত চাইলে রেকর্ডপত্র দিয়ে আমরা সহযোগিতা করতে পারি। পরে আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন আগামি বুধবার।
প্রসঙ্গত: গতবছর ২ মার্চ ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। হাইকোর্ট প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট দুদকের প্রতি রুল জারি করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে ‘হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এবং তার স্ত্রীকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পেছনে এ বাবদ তার খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকার বেশি। গুঞ্জন উঠেছে, এ অর্থ সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক, পরিচালক, মহাপরিচালক থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত ভাগবাটোরা হয়েছে। দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি দিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে সক্রিয় ছিল একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ কারণে আশরাফুল দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ করেও সেটি প্রত্যাহার হয়ে যায়। সুপারিশ করা হয় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দানের। অব্যাহতি দানের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদনটি কমিশনে জমা পড়ে গত (২০২১ সালের) ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্যাকেজ ডিলের আওতায় বিদায়ী কমিশনকে দিয়েই অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘটাতে এখন তোরজোড় চলছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার একজন কমিশনার দায়মুক্তির ওই ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।