পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনতা ব্যাংক ও রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৫শ’ চ শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
গতকাল রোববার কমিশন সভায় এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়। শিগ্রই অনুমোদিত চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্র জানায়, ‘মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে অন্তত সাড়ে ৫ শ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নেয়। কিন্তু এই রফতানি ঋণের বিপরীতে যেসব বিল জমা দেয়া হয়েছিল তার সবই ভুয়া। জনতা ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মেসার্স রূপালী কম্পোজিটের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম এসব অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন। এই ঘটনায় ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় দুদকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করে। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ওই মামলার তদন্ত করেন।
চার্জশিটে মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম.এ কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম রেজাউল করিম ও ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবালসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুমোদিত চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন, রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যারের পরিচালক রেজিয়া বেগম, জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার (এইআরএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন, জহুরুল ইসলাম, সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রূহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মাগরেব আলী, খায়রুল আমিন, এজিএম আতাউর রহমান সরকার, ডিজিএম এ. কে. এম আসাদুজ্জামান, ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল, ডিজিএম কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম ও বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো: জাকির হোসেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মোট ৫২১ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৬৩৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধ দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।