চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পরীক্ষা করতে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীবের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন তানভীর আহমেদ। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় শুনানিতে অংশ নেন।
তিনি জানান, ৩০ দিনের মধ্যে সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করে পানির ২৪ পয়েন্ট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরির একজন প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম বিভাগ পরিবেশ ল্যাবরেটরির প্রতিনিধিকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

এর আগে এই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম-উল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠনের আদেশ দেন। পরে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রির স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন, আইসিডিডিআর, বির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান। পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে ৮টি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই সময় ঢাকা ওয়াসার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাসুম বলেছিলেন, সমন্বিত প্রতিবেদন আসার পর সেখানে জোন-১ ও জোন-৪- একটি মিরপুর অপরটি পাতলা খান লেনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলো ফেকেল ও ই-কোলাই। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান কারেক্টিফিকেশনে গিয়েছি।