মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে উদগ্রীব। কে কোন সমীকরণে চলবে, কে কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীবিভাজন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম বড় শক্তি চীন। ফলে সমস্ত মহলই জানতে চায়, এই যুদ্ধে চীন ঠিক কী করবে? কার পক্ষ নেবে?
এই সব প্রশ্ন-কৌতূহল-জল্পনায় পানি ঢেলে দিয়ে চীন এবার জানিয়েই দিল তাদের অবস্থান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বললেন, আগুনে ঘৃতাহুতি দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপই করবে না বেইজিং, বরং তারা এই ধরনের যে কোনও পদক্ষেপের বিরোধিতাই করবে। এ মাধ্যমে আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিল চীন। কারণ, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য মূলত ন্যাটো জোট তথা আমেরিকার অস্পষ্ট অবস্থানই দায়ী।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বেইজিংয়ের এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াং ই বলেছেন, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনাকে উৎসাহিত করছেন। তার মতে, চলতি সঙ্কটটি শুধু সমঝোতার মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে।
বেইজিং অবশ্য এখনও ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা করেনি। তবে যুদ্ধকে চীন সমর্থনও করতে চাইছে না বলে খবর। তারা মস্কোর সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারও করতে চায়। এবং তারা এ-ও জানিয়ে দিয়েছে যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও একতরফা নিষেধাজ্ঞায় জড়াবে না তারা।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ইস্যুতে আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ এনেছিল চীন। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে চীন বলে ইউক্রেন-রাশিয়ার এই উত্তেজনার জন্য যে দায়ী, তার এখন ভেবে দেখা উচিত, অন্যদের দোষারোপ না করে কীভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে এই আগুন নেভানো যায়। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।