রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে গত ২৫ বছর ধরে মধুমতি নদীর ভাঙনে মানচিত্র বদলে গেছে। হেমন্তের মধ্যেও মধুমতি নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালাবাদ ইউনিয়নে ডুবসি, চরঘাঘা, ইছাখালী ও ধলইতলা গ্রামের ৪ কি. মি. জুড়ে গত ২৫ বছর ধরে মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙনে ২ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। কায়েক হাজার একর জমি, বসত বাড়ি, গাছপালা, সরকারি সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ফসলী জমি, বসতবাড়ি, পল্লী বিদ্যুতের লাইন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা নদী ভাঙন প্রতিরোধে নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মঈন উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয়দের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথা শুনেছেন। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড মধুমতি নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে পানিউন্নয়ন বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছে। ইছাখালি গ্রামের জয়নুল আবেদীন সিকদার, ডুবসি গ্রামের সাবেক মেম্বার গাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ বছর ধরে মধুমতি নদী ভাঙছে। ভাঙনে আমাদের ৪টি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবছর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে টিনের ছাপড়ার মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। নদী ভাঙন আব্যাহত থাকলে আমাদের ৪টি গ্রামই বিলীন হয়ে যাবে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্প নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই। ইছাখালী গ্রামের কৃষক আমির আলী মোল্লা বলেন, মধুমতি আমার ২৫ বিঘা জমি গিলে খেয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। চোখের সামনে ৪ গ্রামের মানুষের বাড়িঘর, সরকারি রাস্তা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ভেঙে গেছে। এখন পুরো ৪ গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙছে। এখন নদী ভাঙন প্রতিরোধ করে আমাদের বাঁচান। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এম.সুপারুল আলম টিকে বলেন, মধুমতি নদীর ভাঙন আমার ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ২৫ বছরের নদী ভাঙনে আমার ইউনিয়নের মানুষ তাদের সহায় সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এখনো নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমি আমাদের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইকে বিষয়টি অবহিত করেছি। ওই ৪ গ্রাম রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া আমার ইউনিয়নের মধুমতি বাজার নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঈনুদ্দীন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণ করেছি। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা টেন্ডার করে কাজ শুরু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।