পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেনে আটক ৫ বাংলাদেশির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছি, তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সিলেট রত্ম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সি এম তোফায়েল সামীর স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ওঠা প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘শান্তি চায়’ এবং ‘যুদ্ধের বিপক্ষে’ বলে যুদ্ধের সপক্ষে আমরা ভোট দেইনি।
ইউক্রেনে ৫ বাংলাদেশিকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে রাশিয়া দূতাবাসের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না, এ বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আর বলেন, ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশির তথ্য আমরা জানতে চেষ্টা করছি, তাদের নিরাপদে পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওখান থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প ও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ হবার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এটি আমি জানি না এবং এ সম্পর্কে বলার সময় এখনো আসেনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। এজন্যই তো আমরা জাতিসংঘে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছি। ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে ভারত সহযোগিতা করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।
এর আগে গত শুক্রবার ঢাকাস্থ রাশিয়ার দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, এতে দেখা যায় ইউক্রেনের সেনাদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশিরা তাদের উদ্ধারের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। ভিডিওতে রিয়াদুল মালিক নামে এক বাংলাদেশি নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, সেখানে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি আছেন। একজন দরজায় পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একটি মোবাইল তারা লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একই অবস্থান। আমরা শান্তি চাই। বিশ্বে স্থিতিশীলতা চাই। কোথাও অস্থিতিশীল হলে আমাদের অসুবিধা হয়। কোভিডের সময় দেখেছেন, কোথাও অস্থিতিশীল হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আঘাত পড়ে। কোনো দেশের অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে আমাদের ম্যানপাওয়ারের সমস্যা হয়।
বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং পৃথিবীতে শান্তির সবচেয়ে বড় প্রবর্তক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ মীমাংসার কথা বলেছি। আমরা জাতিসংঘেও একই কথা বলেছি। আমরা বলেছি, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শান্তির মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে যাতে সমাধান হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইউএন চার্টারে বিশ্বাস করি। যাতে সেটা ফলো করা হয় সেটার জন্য বলেছি। সভরেনটি-ইন্টেগ্রিটির কথা বলেছি।
গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশ। ১৯৩ সদস্য দেশের পরিষদে ওই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে ১৪১ দেশ এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে রাশিয়াসহ পাঁচ দেশের। বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ভোটদানে বিরতি ছিল। চীন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, ইরাক, ভিয়েতনামের পাশাপাশি উগান্ডাসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সি এম শফি সামী, সিলেট রতœ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।