বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের লাথিতে মামলার বাদির পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাটি জানা জানি হলে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী ও স্বজনদের তথ্যমতে, মারপিট ও আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে দায়ের করা একটি মামলার তথ্য নিতে কাশিমপুর থানায় যান মামলার বাদী লাবনী। তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবের দ্বারস্থ হলে, তিনি এক নারী কনস্টেবলকে দেখিয়ে দেন। সেখানে নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। ভুক্তভোগির অভিযোগ, রুমা নামে এক নারী পুলিশ সদস্য দেয়ালে চেপে ধরে ধস্তাধস্তি করেন। এতে তার ঠোঁট, নাক ফেঁটে যায়। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পেটে আঘাত করেন ওই কনস্টেবল।
লাবনী ওই দিন সন্ধ্যায় কিছুটা রক্তক্ষরণ ও পেট ব্যথা থাকায় স্বজনরা লাবনীকে ভর্তি করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। বর্তমানে পুলিশ প্রহরায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এরইমধ্যে পরীক্ষায় রক্তক্ষরণে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর বাচ্চা মারা যাওয়ার রিপোর্টও আসে স্বজনদের কাছে। ভুক্তভোগী লাবনীর সাড়ে চার বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।
এ বিষয়ে জিএমপি মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, এখনো ভিকটিম কোন অভিযোগ করেননি। নিরাপত্তা চাওয়ায় ওই নারীর প্রহরায় পুলিশ দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আরো জানা গেছে, এ ঘটনাটি কাউকে না জানাতে মামলার বাদি লাবনীকে পুলিশ হুমকি প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।