মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়া কেন বিমানবাহিনীকে পুরোদস্তুর ব্যবহার করছে না? রহস্যটা কোথায়? রুশ বিমানবাহিনীর যা ক্ষমতা তাতে যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিমানবাহিনীকে পুরোপুরি ব্যবহার করা থেকে এখনও পর্যন্ত বিরত থেকেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এখানেই রহস্য তৈরি হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সপ্তম দিন হয়ে গিয়েছে। রুশ বিমানবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমাবর্ষণ করছে রাজধানী কিয়েভ এবং খারকিভ-সহ ইউক্রেনের নানা প্রান্তে। সাত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন বিমানবাহিনীকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাচ্ছেন না পুতিন? অন্য দিকে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী অনেক বেশি সক্রিয়। তারা রুশ বাহিনীর হামলাকে ক্রমাগত প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। যেখানে ইউক্রেন বিমানবাহিনীকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাচ্ছে, রাশিয়া এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে কেন?
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এখনও পর্যন্ত তার পুরো সামরিক শক্তি কাজে লাগায়নি। কারণ রাশিয়া সময় নিচ্ছে। তারা চাইছে শহরগুলি থেকে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাক। কিংবা শহর খালি করে দিক। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যাতে হতাহতের সংখ্যা না বাড়ে, তাই হামলার তেজ কমিয়ে ইউক্রেনবাসীদের সময় দিতে চাইছে।
তা ছাড়া এই যুদ্ধে রাশিয়ারও কম ক্ষতি হচ্ছে না। বহু সৈনিকের মৃত্যু হচ্ছে। এ দিকটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে পুতিনকে। যদি বিপুল সংখ্যক সেনার মৃত্যু হয়, তা হলে নিজের ঘরেও ক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন পুতিন। যা তিনি চাইছেন না। আর তাই হামলার গতি কমিয়ে রণকৌশল বদলানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। হামলার পাশাপাশি সৈনিকদের নিরাপত্তার উপরও জোর দিতে হচ্ছে রাশিয়াকে। আর সে কারণেই কিয়েভ দখল করার উদ্দেশে রওনা হওয়া ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কনভয়ের গতি যেন আচমকাই শ্লথ করে দেয়া হয়েছে। কিভ এবং খারকিভে যে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ বাহিনীকে, যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ধীরে খেলার কৌশল নিচ্ছে তারা।
ইউক্রেন ইতিমধ্যেই দাবি করেছে তাদের হামলায় প্রায় ছ’হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। যদিও রাশিয়া তা নস্যাৎ করেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজিঙ্কো বলেন, “এর থেকে স্পষ্ট যে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে শত্রুপক্ষ অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। তাদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। তাই হতাশায় সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালাচ্ছে।” সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।