পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে গভীর সমুদ্রে জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার আড়ালে ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ইয়াবা সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশলে রাজধানী ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে সরবরাহ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় মাদকের চালান নিয়ে আসার সময়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, মাদক কারবারি এই চক্রে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। র্যাবের অভিযানে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও গ্রেফতার হন চক্রের মূলহোতা জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম (৩২)। জসিমের অন্যতম সহযোগী মকসুদ মিয়া (২৯), রিয়াজ উদ্দিন (২৩), শাহিন আলম (২৮) ও সামছুল আলম (৩৫)। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজারের সোনাদিয়ায়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশের সর্ববৃহৎ আইসের চালান ১২ কেজি আইস (যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি), এক লাখ পিস ইয়াবা, ৪ হাজার ৬০০ পিস চেতনানাশক মাদক সিডাকটিভ ইনজেকশন, দুটি বিদেশি পিস্তল, নয় রাউন্ড গুলি, দুটি টর্চলাইট, মিয়ানমারের সিমকার্ড, এক লাখ ৬৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা ও এক লাখ মায়ানমারের মুদ্রা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কামন্ডার খন্দকার মঈন।
তিনি বলেন, বৈধ ব্যবসা ও মাছ ধরার আড়ালে সাগর পথে একটি চক্র মিয়ানমার থেকে আইস ও ইয়াবা বাংলাদেশে নিয়ে আসছে একটি চক্র। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫ এর একটি দল। এ সময় এ চক্রের মূলহোতা ও সমন্বয়কারী জসিমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে ট্রলারের মাধ্যমে মিয়ানমারের মাদক চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশের এই চক্রের কাছে ইয়াবা ও আইসের চালান হস্তান্তর করে। সাগর পথে মাদকের চালান গ্রহণ ও নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য এ চক্রের সদস্যরা ২০ থেকে ২৫ দিন জেলে ছদ্মবেশে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করে। মাদক গ্রহণের পর সুবিধাজনক সময়ে তারা সোনাদিয়া দ্বীপে চলে আসে। পরে সেগুলো সোনাদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর সুবিধাজনক সময়ে চক্রটি সোনাদিয়া থেকে দুটি বোটের মাধ্যমে নোয়াখালীর হাতিয়া নিয়ে আসে। হাতিয়ায় থাকা চক্রের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে মাদকের চালান সংরক্ষণ করা হয়। এরপর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মেঘনা নদী হয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হতো। ঢাকা ছাড়াও চক্রটি বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করতো।
মাদকের চালান মুন্সিগঞ্জে পৌঁছানোর পর রাজধানীর একটি চক্র আইস ও ইয়াবার চালান গ্রহণ করে এবং সড়কপথে বিভিন্ন মাধ্যমে কৌশলে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। নৌপথে মাদক পরিবহনে তারা বিভিন্ন নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য চক্রটি দুটি বোট ব্যবহার করে থাকে। সামনের বোটটিকে তারা নজরদারি করতে ব্যবহার করত এবং পরের বোটটিতে মাদক বহন করা হতো। মোবাইল অথবা টর্চ লাইট সিগন্যালের মাধ্যমে উভয় বোটের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত। পথিমধ্যে নজরদারিতে নিয়োজিত বোট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহজনক কিছু আঁচ করতে পারলে পেছনের মাদকবাহী বোটকে সংকেত দিতো।
গ্রেফতারের পর চক্রের সদস্যদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন জানান, চক্রের নেতৃত্ব দিতেন জসিম উদ্দিন। তার নেতৃত্বে মাদক চক্রের ১২ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। এই চক্রটি মূলত সোনাদিয়া কেন্দ্রিক একটি মাদক চোরাকারবারি চক্র। তারা নৌপথ ব্যবহার করে বিভিন্ন কৌশলে মিয়ানমার থেকে মাদক নিয়ে আসত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সম্প্রতি তারা নৌপথকে প্রাধান্য দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।