পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকাপড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলার পর নাবিকদের জন্য আরও নিরাপদ রাস্তা বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে আমাদের পোল্যান্ডের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সচিবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ওনার কথা হয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। তারাও চাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তাটা নিশ্চিত হোক। নাবিকরা যদি জাহাজ থেকে নেমে যান, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি, আরও নিরাপদ রাস্তা বের করতে পারি কি না। কূটনৈতিকপর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছি। হয়তো দ্রুত তাদের সেখান থেকে নিয়ে আসতে পারবো।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আসলে আমরা খুবই নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। কারণ আমাদের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ওখানে আটকা অবস্থায় আছে। এটা বাণিজ্যিক জাহাজ, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকার কথা। বন্দরের মধ্যে মাইন সেট করার কারণে চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে গেছে। পোর্ট কর্তৃপক্ষ সেখানে যে পাইলটিং করে সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে জাহাজটি আটকে গেছে।’
‘এই অবস্থায় আমরা সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখছিলাম। আমাদের জাহাজে এক মাসের বেশি সময়ের খাবার মজুত ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে যখন আমরা সংবাদটা পাই, সেখানে মিসাইল হামলা হয়েছে। জাহাজের ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরপরই খবর পেলাম থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান সেখানে মিসাইলের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ক্রুরা ফায়ার ফাইটিংয়ের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।’
নৌ-প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাহাজ এখন চলাচল করা সম্ভব নয়। তবে জেনারেটরসহ বাকি যেসব সুবিধা, সেগুলো আমাদের ক্রুরা পাচ্ছে। তবে সেখানে একটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এটা স্বাভাবিক। সেখানে যুদ্ধ চলছে, তারা যুদ্ধের মধ্যে আটকা পড়েছেন। তারা মুভমেন্ট করতে পারছে না, এর মধ্যে সেখানে মিসাইল হামলা হয়েছে।’
মারা যাওয়া হাদিসুর রহমানের মরদেহটি জাহাজেই সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নির্ভর করে যে, আমরা কী অবস্থায় যাবো।’
‘রাশিয়া, ইউক্রেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং আইএমওর (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। রেডক্রসের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। জাহাজটি যদি আমরা পুরোপুরি ছেড়ে দেই, তবে অন্য একটি সম্ভাবনা থেকে যায়।’
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সবকিছু বিবেচনায় জাহাজের ক্রুদের জীবনের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। জাহাজের মধ্যে থেকে তারা বেশি নিরাপদ থাকতে পারে। তবে যুদ্ধটা কোন পর্যায়ে যাবে, তা তো জানি না। আমি বলেছি, তাদের নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। খুব আতঙ্কিত, উৎকণ্ঠিত, ক্রেজি হয়ে গেছে, ভুল সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সাহস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিএসসি ও ডিপার্টমেন্ট অব শিপিংয়ের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য বলেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।