গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আপনাদের পালাবার জায়গা নেই, কোনো দেশ আপনাদের গ্রহন করবে না। একজন মন্ত্রী পালাতে চেয়েছিলেন। কোন দেশ তাকে গ্রহন করেনি। সুতরাং দেশেই যেহেতু থাকতে হবে, তাহলে চুরির মাল ফেরত দেন। যেসব টাকা বিদেশে আছে, তা আনার ব্যবস্থা করেন। দেশের টাকা যদি বিদেশে পাচার না হত, তাহলে তা দেশে বিনিয়োগ হত।
বুধবার (০২ মার্চ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গাজীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে বিএনপি অবিরাম সংগ্রাম করে আসছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাট চলছে। গত ১২ বছরে দেশ থেকে ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে লুণ্ঠিত টাকা বিদেশে পাচার করে সরকার এখন জনগণের পকেট কেটে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। আপনাদের চুরি করা টাকার ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব জনগণের নয়। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়লে সব কিছুর দাম বাড়ে। অবিলম্বে এ দু’টির দামসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমান। মানুষের আয় কমছে, ব্যয় বাড়ছে। একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হচ্ছে, শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে। দিন মজুররা কাজ পাচ্ছে না। দেশটা জাহান্নামে যাবে এজন্য যুদ্ধ করিনি।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে তেলের দাম করতেছে আর বাংলাদেশে বাড়ে। তেলের দাম, গ্যাসের দাম যদি বাড়ে তাহলে আর কিছুর দাম বাড়ানোর দরকার আছে। তেল ও গ্যাসের সাথে শিল্প ও কৃষির সব কিছুর উৎপাদন, পরিবহনসহ সব ধরনের পন্যের ব্যয় জড়িত এ কারণেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।
এই সরকার লুটপাটের উর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, ভোটচুরি, মিথ্যা কথায় উর্ধ্বগতি। দামের দিক দিয়ে নি¤œগতি আছে, মানুষের জীবন, মা বোনের ইজ্জত। এদের জন্য কান্নার লোক থাকে না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবি কার কাছে করব? যিনি বাড়ায় তার কাছে? তিনিই তো সরকারের লোকজনদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায়, মূদ্রাপাচার করে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন, যেসব ব্যবসায়ীদের পুঁজি ও আয় কম তাদের ওপর এনবিআরের চাপ কত। বিক্রি করেন বা না করেন টাকা আমার চাই।
সরকারের পদত্যাগ চেয়ে গয়েশ^ও রায় বলেন, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করেন। জাতিকে রক্ষা করার জন্য সুজা পদত্যাগ করেন। তানা হলে জনগণ আপনাদের টেনে হেচড়ে নামাবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান, জেলা বিএনপির সদস্য সাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির মাস্টার, গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু তাহের মুসল্লী, কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মো. হেলাল উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আক্তারুল আলম মাস্টার, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বেপারি, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাসিবুর রহমান মুন্না, জেলা মহিলা দলের আহবায়ক ফেরদৌসী বেগম, শ্রমিক দলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।