মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কলকাতার ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার তদন্তে এবার তার লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হলো। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এই ময়না-তদন্ত করা হয়। এ সময় আনিসের চাচাতো ভাই সালমান, তাদের আইনজীবী এবং জেলা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর দুই কর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল চারটে থেকে ময়না তদন্ত শুরু হয়। চলে সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। দেহের ২৪ জায়গার এক্স-রে করা হয়। সূত্র জানাচ্ছে, এক্স-রে-তে দেখা গেছে, মুখ, বাঁদিকের পাঁজর, পা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। পুরো ময়না-তদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর রাত নয়টা নাগাদ আনিসের লাশ আবার আমতায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই লাশ কবরস্থ করা হয়েছে।
সিট দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করতে চেয়েছিল এবং হাইকোর্ট তার অনুমতি দেয়। আনিসের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা জানার ক্ষেত্রে বিস্তারিত ময়না তদন্ত করা জরুরি বলে সিট জানিয়েছিল। সিটের আশা, দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা বুঝতে পারবে, আনিসের দেহ ছাদ থেকে কতটা দ্রুত পড়েছিল, কোথায় কতটা আঘাত লেগেছে, সেই আঘাতের পরিমাণ কতটা এবং তার মৃত্যুর জন্য কোন আঘাত দায়ী? আনিসের মৃত্যু-রহস্যের সমাধান করতে গেলে এই সব প্রশ্নের জবাব খুবই জরুরি বলে তারা মনে করছেন।
সিট প্রথমে গত শনিবার আনিস খানের দেহ কবর থেকে তুলতে চায়। তারা ভোররাতে গিয়ে দেহ তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আনিসের পরিবার তাতে রাজি হয়নি। গ্রামবাসীরাও বাধা দেয়। সোমবারও প্রথমে কাকভোরে তারা দেহ আনতে যায়। কিন্তু আনিসের পরিবার জানিয়ে দেয়, জেলা বিচারক না এলে তারা দেহ কবর থেকে তুলতে দেবেন না। হাইকোর্টের নির্দেশে সেটাই বলা ছিল। সিটের যুক্তি ছিল, হাইকোর্ট বলেছিল, ময়না-তদন্তের সময় জেলা জজ থাকবেন। কবর থেকে দেহ তোলার সময় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের অফিসার থাকলেই হলো। সেই অফিসার তারা এনেছেন।
কিন্তু আনিসের পরিবার এই যুক্তি মানতে রাজি হয়নি। তারপর সিটের কর্মকর্তারা জেলা বিচারককে নিয়ে আসেন। সমস্যা মেটে। আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে দিতে রাজি হয় তার পরিবার। পরে আনিসের দাদা সাবির বলেন, তারা এখনো সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। কারণ, সিটের মধ্যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতা। আনিসের দেহ কবর থেকে তোলা হয়। তারপর পুরো রাস্তা গ্রিন করিডোর করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই সময় যাতে কোনোরকম বিক্ষোভ না হয়, সেজন্য পুরো হাসপাতাল চত্বর নিরাপত্তার বেড়াজালে ঘিরে ফেলা হয়।
সোমবারও সিট-এর অফিসাররা আমতা থানার কয়েকজন পুলিশকর্মীকে জেরা করেছেন। আনিসের বাবা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন চারজন পুলিশ কর্মী এসেছিল। তার মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই জনকে এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনার বাড়তি তথ্য পেতে সিট এখন আমতা থানার অন্য পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সূত্র: পিটিআই, হিন্দুস্তান টইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।