Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রুশ পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর দল প্রস্তুত হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১২ পিএম

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর দল প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্ররিতক্ষামন্ত্রী ও সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল সের্গেই শোইগু। -স্পুটনিক

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ ফেডারেশনের সুপ্রিম কমান্ডার ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ অনুযায়ী রাশিয়ার স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর যেসব সদস্য পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে উত্তর মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের রুশ নৌবহর ও বিমানবাহিনীর দূরপাল্লার বিভাগ বরাবর রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র পরিচালনা ইউনিটের সদস্যদের যেন চলমান অভিযানের সাধারণ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া যে কোনো সময় (অস্ত্র ক্ষেপণের) নির্দেশ পালনের জন্য প্রযোজনীয় প্রস্তুতির কাজও সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের। রবিবার সের্গেই শোইগু এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে দেশের সেনা বাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা দলকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখার নির্দেশ দেন পুতিন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ সম্পর্কে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ঘিরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ‘আক্রমণাত্মক বিবৃতি’ এবং মস্কোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, পুতিনের ভাষণ টেলিভিশনে সম্প্রচারের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ নেটওয়ার্ককে একটি সাক্ষাৎকার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। যদি রাশিয়া তা না করে, তাহলে শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধ ন্যাটোর সঙ্গে রুশদের সংঘাতে মোড় নেবে।



 

Show all comments
  • সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলী ২ মার্চ, ২০২২, ১২:১৭ পিএম says : 0
    আমিরিকার পাশের দেশ ম্যাক্সিসকো সেখানে যদি রাশিয়া ঘাঁটি বানাতে চাই۔ তাহলে আমিরিকা কি চুপ করে বসে থাকবে۔তাহলে রাশিয়ার চির শত্ত্রু ন্যাটো ইউক্রেনে ঘাঁটি বানাতে চাইলে রাশিয়া আক্রমণ কেন করবে না۔এ নিয়ে যদি বিশ্ব যুদ্ধ বাধে তাহলে আমার মতে ন্যাটো দায়ী হইবে۔ন্যাটোর এমন সম্প্রসারণ নীতি বদলাইতে হবে۔আমিরিকার মহামান্য প্রেসিডেন্ট কে মুরব্বি হিসাবে এটা বন্ধ করতে হবে۔তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হলে পৃথিবী ধ্বংস হবে যাবে۔
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ