মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনকে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সত্যি সত্যি যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পর যেভাবে শুধু রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেই আমেরিকা চুপচাপ আছে, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে জাপান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি প্রশ্নবাণ হেনেছেন আমেরিকার উদ্দেশে। তার বক্তব্য, চীনও যদি রাশিয়ার দেখানো পথ অবলম্বন করে তাইওয়ান দখলে উদ্যোগ নেয় তা হলেও কি আমেরিকা এ রকম উদাসীন হয়েই থাকবে! এ ব্যাপারে আমেরিকার অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তরের দাবি তোলেন আবে। পাশাপাশি জাপানের পরমাণবিক নীতি বদলের পক্ষেও সওয়াল করেন সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে অনেক দিন ধরেই নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে বিবেচনা করে থাকে চীন। সাম্প্রতিক সময়ে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটির উপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি সোজাসুজি জানাতে শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের সরকার বলে, তারা শান্তি চায় কিন্তু প্রয়োজন হলে আত্মরক্ষা করবে। তাইওয়ানকেও সামরিক সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি বরাবর দিয়ে এসেছে আমেরিকা। কিন্তু চীন সত্যি সত্যি আক্রমণ করলে তাইওয়ান মতো একা একা লড়তে বাধ্য হবে না তো! সেই প্রশ্নই উঠে এসেছে আবের গলায়।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাইওয়ানে সশস্ত্র চীনা আক্রমণ জাপানের জন্যও তা মারাত্মক বিপদ হয়ে উঠতে পারে। চুক্তি অনুযায়ী তাইওয়ানের আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আমেরিকা সমর্থন দিতে বাধ্য। কিন্তু ইউক্রেনকে সাহায্য করার ব্যাপারে আমেরিকা যে রকম চুপচাপ রয়েছে, তাতে আর নিশ্চিন্ত বোধ করছে না জাপান, তাইওয়ানের মতো দেশগুলো!
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, জাপানের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ, চীন আগ্রাসী হলে শুধু তাইওয়ান নয়, হামলা হবে জাপানের সেনকাকু দ্বীপেও। এদিকে চীনের মতো পরমাণবিক শক্তিধারী দেশের বিরুদ্ধে পালটা লড়াই করার মতো পারমাণবিক শক্তি জাপানের হাতে নেই। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপানের মাটিতে পরমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন হয় না। বরং এক্ষেত্রে তারা আমেরিকার উপর নির্ভরশীল।
এদিকে ইউক্রেন হামলার পর আমেরিকার অবস্থান দেখে শঙ্কিত জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এক টিভি শো তে এসে শিনজো আবে বলেন, ‘জাপানের পরমাণবিক নীতি বদল করা উচিত। কীভাবে বিশ্বের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় সেটা দেখতে হবে। নীতি বদল করে পরমাণবিক শক্তি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে।’ যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।