Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রের করোনা টিকা অনুদানের সর্ববৃহৎ গ্রহীতা বাংলাদেশ

এ পর্যন্ত ৬ কোটি ১০ লাখেরও বেশি ডোজ পেয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৯ পিএম

কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি করোনার আরো ১ কোটি ডোজ টিকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সারাদেশে টিকাদান সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে সর্বশেষ এই অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানকৃত করোনা টিকার সর্ববৃহৎ গ্রহীতা হয়ে উঠেছে এবং এখন পর্যন্ত মোট ৬১ মিলিয়ন (৬ কোটি ১০ লাখ) ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।

২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে বিনামূল্যে ফাইজারের তৈরি ১ বিলিয়ন ডোজ টিকা অনুদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবেলায় নেতৃত্বদানে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ফাইজারের তৈরি টিকার এই ধারাবাহিক অনুদান প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ বলেন, ফাইজারের তৈরি টিকার সর্বশেষ এই অনুদানের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যেকার অংশীদারিত্ব ও বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশকে করোনার টিকা বেশি প্রদানে আমেরিকার জনগণের উদারতার বিষয়টিই উঠে এসেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর মাধ্যমে নিরাপদে ও দক্ষতার সাথে মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার ও টিকা কার্যক্রমের দ্রুত সম্প্রসারণে সম্পৃক্ত সকল অংশীদারের কাজের প্রতিফলন ঘটেছে।

জাতীয় কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ৯ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীকে যথাযথ টিকাদান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ শীতলীকৃত মজুদ ও পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর মাধ্যমে কোভিড সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি অনুদান প্রদান করেছে।  এই সহায়তার মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হয়েছে, রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সক্ষমতা ও পরিবীক্ষণ জোরদার হয়েছে, আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চা জোরদার হয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত হয়েছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ফলে সম্মুখসারীর কর্মীরা সুরক্ষা পেয়েছে এবং সংক্রমণ থেকে কীভাবে নিজেদেরকে আরো সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কোভিড-১৯’র টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৪ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯’র টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে প্রদত্ত এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতাদেশে পরিণত হয়েছে। ###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ