রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে এবছর রবি ফসলের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। এ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন নদী বিধ্বস্ত। এই ৬টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে লোকজন তাদের জমা-জমিতে বিভিন্ন প্রকার রবি ফসলের চাষাবাদ করেছেন। আবাদের লক্ষণ মোটামুটি ভালো। রবি ফসলকে ঘিরে নদীগর্ভে নি:স্ব হওয়া হাজার হাজার মানুষের মুখে এখন সুখের হাসি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছরে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর। সরিষা ৪২০ হেক্টর, ডাল জাতীয় ১৩০, মরিচ ১১০, রসুন ৭৫, আলু ১ হাজার ২৫০, ধনিয়া ২০, তিল ১০, তিসি ২০, ভুট্টা ১ হাজার ৬৫০, মিষ্টি আলু ৬৫, পিঁয়াজ ৩৫০, চিনা ২০, কাউন ২৫, চিনা বাদাম ৬০, মৌরি ৬, কালোজিরা ১০, ক্ষিরা ১২, আখ ৪০, শাক-সবজি ৫৬০, মাসকালাই ৬৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা। তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে হাজার হাজার পরিবার আবাদি জমি, বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। এই নিঃস্ব পরিবারগুলো বাঁচার তাগিদে তাদের বংশীয় ঐতিহ্য ত্যাগ করে রিকশা, ভ্যান চালানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শ্রম বিক্রি করছিল। কিন্তু নদীর নাব্য হ্রাস পাওয়ায় জেগে উঠে ছোট ছোট অসংখ্য বালু চর। এই চরে রবি ফসল চাষ করা যায় নির্ভয়ে। তাই রবি মৌসুমে কৃষকরা ব্যাপক চাষাবাদে মাঠে নেমেছে কোমর বেঁধে। নদীর ধু-ধু বালু চরে যেখানে যে ফসল প্রযোজ্য তাই চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। আবাদের ফলন খুব ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়ায় সবার মুখে সুখের হাসি বিরাজ করছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৭০০ কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা জমি চাষের কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। উপকরণের মধ্যে রয়েছে সার ও বীজ। পুনর্বাসনের মধ্যে ৯০০ জন কৃষককে সরিষা, ১ হাজার ৪০ জন কৃষককে গম, ১ হাজার ১৭০ কৃষককে ভুট্টা, ৪৬৫ কৃষককে মাসকালাই, ২১০ কৃষককে শাক-সবজি ও ২০ জন কৃষককে মুগ ডালের বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। গত বন্যায় আমন ক্ষেতের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় যে সমস্ত জমি পতিত পড়েছিল সেগুলোতে আগাম করে রবি ফসল চাষ করছে কৃষকরা। তাদের আসা আমনের লোকসান যেন রবিতে উঠে আসে। খোর্দ্দা চরের কৃষক রফিকুল জানান, ২ বিঘা জমি পতিত ছিল সেটাতে আবাদ করে গম লাগিয়েছি। গমের ফসল উঠলে পিঁয়াজ লাগাব। এতে দুই ফসলে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের দিকে ধাবিত হব। হরিপুর চরের কৃষক নজরুল জানান, আগাম সরিষার আবাদ করেছি। সরিষাতে খরচ কম হয় বিধায় আমাদের লাভ বেশি থাকে। কাপাসিয়া চরের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রবি চাষেই আমরা বেশি লাভবান হব। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, রবি ফসলের ৭০ ভাগই চরাঞ্চলে চাষাবাদ হয়। কৃষকদের আশা তাদের ভরসার শেষ সম্বল এ চর যেন আর ভাসিয়ে না নেয় সর্বনাশা তিস্তা নদী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।