পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শপথ নিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং অন্য চার নির্বাচন কমিশনার। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গতকাল সিইসি ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আকবর। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
আজ থেকে নির্বাচন ভবনে নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। সেখানে সকালে তাদের বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর দুপুর ১টায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।
শপথ নেওয়ার পর নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। শপথের মাধ্যমে কেবলই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এবং শপথের প্রতি অনুগত থেকে যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারি, সে জন্য দোয়া চাই এবং সকলের সহযোগিতা চাই। সিইসি বলেন, প্রতিটি নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কোনো চ্যালেঞ্জ ভয় পেলে চলবে না। দায়িত্ব নেওয়ার পর বোঝা যাবে চ্যালেঞ্জ আছে কি-না। তখন চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সেই লক্ষ্যে দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মপদ্ধতি এবং কৌশল নিরূপণ করা হবে।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন করে না। নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। সব অংশীজন যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে তাদের (নির্বাচন কমিশন) প্রধান দায়িত্ব হবে এ সহযোগিতা আদায় করে নেওয়া। শুধু ইসি চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সবার সহযোগিতা লাগবে। সর্বোচ্চ ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের।
সিইসি বলেন, আমি আশাবাদী সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারব। যেসব সহকর্মী পেয়েছি, তাদের ওপর আস্থা আছে। আগামী যে নির্বাচন, তাতে সর্বোচ্চ যেটা দেওয়া সম্ভব, তা দেওয়ার চেষ্টা করব। সব কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় নতুন নির্বাচন কমিশন। তার নেতৃত্বে নতুন কমিশনে আরও চার কমিশনারের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী গঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট এ নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন। সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সার্চ কমিটি প্রেসিন্ডেন্টের সঙ্গে দেখা করে ১০ জনের এ তালিকা হস্তান্তর করেন। এ তালিকা থেকে প্রেসিডেন্ট নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে নাম নেওয়া ছাড়াও বিশিষ্টজনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটির সপ্তম ও শেষ সভায় ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন সিইসির মধ্যে সাতজনই বিচারপতি। বাকি ছয়জন সাবেক আমলা।
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন পরিচালনা করবেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।