Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসক পদে একক সদস্য পদে আ.লীগের একাধিক নেতার দৌড়ঝাঁপ

জেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসক পদে বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের নাম এককভাবে শোনা গেলেও পরিষদের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে একাধিক নেতা তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করে মাঠে নেমে পড়েছেন। সমর্থন পেতে ইতিমধ্যে তারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে নানাভাবে চেষ্টা তদবিরও চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রশাসক পদে একক প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুকের নামই শোনা যাচ্ছে। এছাড়া সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডের একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সালামা সালাম উর্মি মাঠে প্রচারণায় নেমেছেন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘোষণার পরই দুই ওয়ার্ডের সম্ভব্য সদস্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদে প্রশাসক পদ ছাড়াও ১৫টি সাধারণ ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে ১জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ১জন মহিলাসহ মোট ২০জন সদস্য নির্বাচন করে নির্বাচিত হবেন। ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে মির্জাপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ছাড়াও সখিপুর উপজেলার ১টি ও বাসাইল উপজেলার ২টি ইউনিয়ন রয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ইউনিয়নগুলো হলো মির্জাপুর উপজেলার বানাইল, আনাইতারা, উয়ার্শী, জামুর্কী, মহেড়া, ফতেপুর, ভাদগ্রাম ও ভাওড়া এবং বাসাইল উপজেলার হাবলা ও কাঞ্চনপুর। ৬নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ইউনিয়নগুলো হলো মির্জাপুর পৌরসভা, গোড়াই, বহুরিয়া, আজগানা, বাঁশতৈল, তরফপুর ও লতিফপুর এবং সখিপুর উপজেলা হাতিবন্ধা। এছাড়া মির্জাপুর উপজেলার ১৫টি, নাগরপুর উপজেলার ১০টি, সখিপুর উপজেলার ১টি ও বাসাইল উপজেলার ২টি ইউনিয়নসহ মোট ২৮ইউনিয়ন নিয়ে সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড (৪,৫,৬) গঠিত। ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনিছুর রহমান হুমায়ূন, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজীব, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক (বর্তমানে বহিস্কৃত) উয়ার্শী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হেল শাফি, বানাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (পরাজিত) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শামীম কবির। ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা হলেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিআরডিবি চেয়ারম্যান মীর শরীফ মাহমুদ, মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন মনি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইদুর রহমান বাবুল। এদিকে ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সরকারের এমন ঘোষণা পর দুই ওয়ার্ডের একাধিক মনোনয়ন প্রার্থী দলের সমর্থন পেতে নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষাণা দিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে নানাভাবে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড (সাধারণ ওয়ার্ড ৪,৫,৬) থেকে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সালমা সালাম উর্মির নাম এককভাবে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন যদি দলগতভাবে হয় তবে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে থেকে যোগ্যতম একক প্রার্থী বাছাই করে মনোনয়ন দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশাসক পদে একক সদস্য পদে আ.লীগের একাধিক নেতার দৌড়ঝাঁপ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ