রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীর উপর পারসোমবাড়ীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। এদিকে পারসোমবাড়ী খেয়া ঘাটের পারাপার বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের মই (সিঁড়ি) দিয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের ওপর দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন লোকজন। প্রায় ১শ’বছর থেকে পারসোমবাড়ী খেয়া ঘাটের নৌকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষ পারাপার হয়। কোলা, বিলাশবাড়ী, আধাইপুর এবং বালুভরা এই চারটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ খেয়া ঘাটে নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে জেলা শহর নওগাঁয় যাওয়া-আসা করেন। নতুন লোকদের ঘাট ইজারা দেয়ায় টোল আদায়ের সরকারি নিয়মনীতি না মেনে পারাপারের অতিরিক্ত টোল আদায় করেন তারা। ফলে পারাপারে খেয়া ঘাটের লীজকারীদের সাথে লোকজনের কথা কাটাকাটি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। তার এক পর্যায়ে খেয়াঘাটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। সপ্তাহে দু’দিন পারসোমবাড়ী হাট বসে। স্থানীয়দের উৎপাদিত শাকসবজি ও ধানসহ অন্যান্য ফসল নদী পার হয়ে বাজারে বিক্রি করতে আসতেও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সময়মতো নদী পার হতে না পারায় ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। এদিকে ছোট যমুনা নদীর ওপর পারসোমবাড়ীতে একটি ব্রিজ নির্মাণ কাছ চলছে। ব্রিজটি সম্পূর্ণ হতে আরো চার-পাঁচ মাসের মতো সময় লাগতে পারে। এ অবস্থায় নির্মাণ শ্রমিকরা একটি কাঠের মই (সিঁড়ি) করেছেন। যে মই বা সিঁড়ি বেয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের ওপর দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। অনেকে সাইকেল ঘাড়ে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। অনেকে আবার মোটরসাইকেল এক পাড়ে রেখে অপর পাড়ে হাট করছেন। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বালুভরা ইউনিয়ন-বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রঞ্জু আলম বলেন, ‘একা মানুষ আমি। অফিস করব না খেয়া ঘাট দেখবো। দলীয় চাপে পড়ে ইউএনও স্যারের সাথে বসে খেয়াঘাটটি লীজ দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে যা আয় হয় তা রাজস্ব খাতে জমা হয়’। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন শওকত বলেন, ‘সরকারি রেটে টোল আদায় করতে বলায় ওরা পারাপারে অপারগতা দেখিয়েছে যার জন্য খেয়াঘাটটি বন্ধ রয়েছে। আর এখানে প্রশাসনের কিছুই করার নেই’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন প্রকার অনিয়ম করে খেয়াঘাট লীজ দেয়া হয়নি। বরং শেখর হোসেন বেশি টাকার ডাক দিয়েছিল বলে তাদের দেয়া হয়েছে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।