পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন তার চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন করেছেন। গতকাল রোববার বাহকের মাধ্যমে আবেদনটি ঢাকায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন চাকুরি বিধিমালা-২০০৮ এর ৪৮ বিধি মোতাবেক অপসারণ আদেশ পুননিরীক্ষণ করে অপসারণ আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য এ আবেদন করেছি।
চাকরিতে থাকাকালে পেশাদারিত্বের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন দাবি করে তিনি লিখেছেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে এবং কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
আবেদনে শরীফ বলেন, দুদক চট্টগ্রাম-২ কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে তার কাছে ৭০টি অভিযোগের অনুসন্ধান ও ৪২টি মামলার তদন্তভার ছিল। রোহিঙ্গাদের এনআইডি বিষয়ক ৬টি অভিযোগপত্রের বিষয়ে প্রধান কার্যালয়ের অনুসন্ধান দলের সদস্য ছিলেন তিনি। বাঁকখালী নদী দখলে ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার দুর্নীতির বিষয়ে মামলা করার সুপারিশ করেছিলেন।
আবেদনে ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে অপসারণের আগে পর্যন্ত কী কী করেছেন, তার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন শরীফ। চাকরি থেকে অপসারণের ওই আদেশ ‘অযৌক্তিক ও অমানবিক ও সংবিধানের ১৩৫(২) অনুচ্ছেদ এবং মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন বলে দরখাস্তে দাবি করেছেন শরীফ।
২০০৮ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে দুদক। ওই আদেশের পর থেকে নানা আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। শরীফকে অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার ও ৫৪ (২) বিধি বাতিলের দাবিতে তার সহকর্মীরাও দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ সংস্থার অন্যান্য দপ্তরে মানববন্ধন করেছেন- যা নজিরবিহীন।
এই প্রেক্ষিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে কমিশনের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন দুদক সচিব। সেখানে বলা হয়, শরীফের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও দপ্তর থেকে নানা অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তিনি দুদকের নির্দেশিকা অনুসরণ না করে নিজের খেয়ালখুশি মত কাজ করতেন। মানুষকে নোটিস বা টেলিফোনের মাধ্যমে ডেকে এনে তিনি হয়রানি করতেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গত ২১ ফেব্রুয়ারি শরীফ সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেন, যাদের বিরুদ্ধে তিনি মামলার সুপারিশ করেছেন, তাদের অভিযোগেই তাকে কমিশন থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে যাচাই-বাছাই না করে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আপস করলে এতকিছু হত না। চাকরি হারানোর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ‘হত্যা ও চাকরি খাওয়ার হুমকি’ পেয়ে নগরীর খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। চাকরি হারানোর পর থেকে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।