মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিপন্ন পিতৃভূমি। প্রশাসনের নির্দেশে রুশ হামলা রুখতে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। হাই হিল ছেড়ে এবার সামরিক জুতোয় পা গলালেন ইউক্রেনের সুন্দরী অ্যানাস্থেশিয়া লেনা। বন্দুক হাতে মিস গ্র্যান্ড ইউক্রেনের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সেনার পোশাকে দেশবাসীর প্রতি বার্তা দিয়ে অ্যানাস্থেশিয়া লেখেন, ''ইউক্রেনের জন্য প্রার্থনা করুন। যুদ্ধ বন্ধ হোক।'' লাস্যময়ী মডেলের এই রূপে এখন ফিদা নেটপাড়া। নিজের ইনস্টাগ্রামে যুদ্ধের পোশাক এবং বন্দুক হাতে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন অ্যানাস্থেশিয়া লেনা। ২০১৫ সালে মিস গ্র্যান্ড ইউক্রেন প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি তুরস্কতে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবেও কর্মরত ছিলেন অ্যানাস্থেশিয়া।
কিরা রুদিক। ইউক্রেনের ভয়েস পার্টির সদস্য। তিনি যুদ্ধবাজ নন। তবে, যুদ্ধ যখন যেচে ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ায়, তখন তার মোকাবিলা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তাই কিরাও হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। কালাশনিকভ হাতে নিয়ে কিরার সেই ছবি ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। টুইটারে নিজের এই ছবি পোস্ট করে কিরা লিখেছেন, "আমি কালাশনিকোভ চালাতে শিখে নিয়েছি। আমি বন্দুক ধরার জন্য প্রস্তুত। আমার সঙ্গে যে এমন কিছু ঘটতে পারে, কিছুদিন আগে আমি নিজেই সেটা জানতাম না! আমাদের পুরুষরা ইউক্রেনের মাটির জন্য লড়াই করছেন। একই লড়াই আমাদের নারীরাও লড়তে প্রস্তুত!"
ইয়ারনা ও সাভিয়াতটসলাভও। যুদ্ধ যেন এই নবদম্পতির স্বাভাবিক জীবনটা এক লহমায় বদলে দিল। ইউক্রেনের এই যুগল হানিমুন বাতিল করে বন্দুক তুলে নিয়েছেন হাতে। বোমা-যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ, রক্তরাঙা দেশের মাটি, চারদিকে শুধুই আতঙ্কের আবহ। বিয়ের পর আর পাঁচটা দম্পতির মতো সংসার করার বদলে দুর্দিনে দেশের মাটি রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ইউক্রেনের ইয়ারনা ও সাভিয়াতটসলাভ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রাথমিকভাবে কিয়েভ এবং খারকিভ লক্ষ্য করেই আকাশপথে শুরু হয় বোমাবর্ষণ। প্রথম দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বিভিন্ন পরিকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু, পরে বসত এলাকাতেও ঢুকে আক্রমণ শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন সরকারের দাবি, ইতিমধ্যেই বহু ঘর, বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের বহু ছবি। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।