Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বে-টার্মিনাল নির্মাণ দ্রুত শুরুর আহ্বান

চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের সভা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দেশের অর্থনীতির মূলচালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্যের চাপ বাড়ছে উল্লেখ করে তা সামাল দিতে বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের নেতারা। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সভায় তারা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল-পিসিটির কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনালের কাজ দ্রুত শুরুরও তাগিদ দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের সভাপতি কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি পণ্যসামগ্রী পরিবহন শুরু হয়। যা এখন প্রায় ৩৩ লাখ টিইইউএস কন্টেইনারে এবং ১১ কোটি টন পণ্যে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি আরও বাড়বে। চট্টগ্রাম বন্দর আরো বেশি কর্মঞ্চল হয়ে উঠবে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। সাথে সাথে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে সক্ষম করে তুলতে হবে। নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় সভায় বন্দর উন্নয়ন সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ। প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করা। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে সদরঘাট থেকে নদীর মোহনা পর্যন্ত খননকাজ শুরু করা। মাতারবাড়ী পোর্টডেভেলপমেন্ট প্রকল্প শেষ করে যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ অপারেটর নিয়োগ দেওয়া।
মহানগরীর জন্য মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে বন্দর এলাকাকে সংযুক্ত করা, যাতে বন্দরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুততর হয়। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা, বিশেষ করে বন্দরের ট্যারিফকে সহজতর করে ব্যবহারকারীদের সাথে আর্থিক লেনদেন অনলাইনে করা। নিলামযোগ্য (প্রায় ১০ হাজার) কন্টেইনার বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করে কন্টেইনার জট এড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া এবং সন্দ্বীপ চ্যানেলে বারবকুণ্ড থেকে মীরসরাই পর্যন্ত পানিপথে পরিবাহিত পণ্য (কন্টেইনার ও বাল্ক) খালাসের জন্য জেটি নির্মাণ, যা মীরসরাই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল ও ব্যয় সাশ্রয়ী করবে।
সভায় আরও বলা হয়, বন্দর থেকে হাজার হাজার ভারি যানবাহন (ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি) নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পার্কিং ও চলাচল করায় যানজটের কবলে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে এবং রাস্তা-ঘাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে আধুনিক সুবিধাসম্বলিত ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করে ভোগান্তি থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে পারে। বর্তমানে বছরে রেলের মাধ্যমে ৭০ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার পরিবহন হলেও তা পাঁচ লাখে উন্নীত করা দরকার। এতে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি এবং মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়ানো এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমবে ও পরিবেশবান্ধব হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন মোবারক হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সলিমুল্লাহ খান, ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, হাজী জহুর আহমদ, সাংবাদিক অঞ্জন কুমার সেন, এম নাসিরুল হক, তপন চক্রবর্তী, নাজিমুদ্দিন শ্যামল, জসিম চৌধুরী সবুজ ও কালাম চৌধুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ