গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নগরীর আগ্রাবাদে মেডিকেল গুদামে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক ডাইক্লোরো ডাফেনাইল ট্রাইক্লোরেথেন (ডিডিটি) পাউডার অপসারণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল শনিবার
শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তত্ত্বাবধানে গুদাম থেকে ডিডিটি নেওয়া হচ্ছে প্যাকেটে।প্যাকেটজাত শেষ হলে ডিডিটি তোলা হবে কনটেইনারে। পরে, জাহাজে ডিডিটি পাঠানো হবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। মেডিকেল ডিপো প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিডিটি সরানোর কাজ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ডিডিটির মশা মারা ছাড়া আর কোনো উপকারিতা নেই। এটা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটা কোনোভাবেই নষ্ট হয় না, অপরিবর্তিত থেকে যায়। মানবদেহে নানান রোগের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে একসময় শুধু সীতাকুণ্ডে একটি সরকারি কারখানায় ডিডিটি উৎপাদন করা হত। ৩৬-৩৭ বছর আগেই সেখানে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। সেখানে যেগুলো ছিল সেগুলো তারা সাব মেডিকেল ডিপোতে জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশে এখন একমাত্র এখানেই (মেডিকেল গুদাম) ডিডিটি আছে। ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা নিধনের জন্য ১৯৮৫ সালে পাকিস্তান থেকে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫০০ মেট্রিকটন ডিডিটি আমদানি করা হয়েছিল। মানবদেহ, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিচেনায় ১৯৮৯ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ হয় এই রাসায়নিক। কিন্তু ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় গুদাম প্লাবিত হয়ে কিছু রাসায়নিক ভেসে যায়। অবশিষ্ট ডিডিটি তখন থেকেই মেডিকেল ডিপোতে চারটি আলাদা-আলাদা গুদামে রাখা আছে। সম্প্রতি সরকার ডিডিটি পরিবেশসম্মতভাবে অপসারণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের নাম পেস্টিসাইট রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ। পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ফরিদ আহমেদ প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।