পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা চারবার আমলা থেকে সিইসি নিয়োগ পেয়েছেন। সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ (শনিবার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগের তিন সিইসিও এসেছিলেন আমলা থেকে। স্বাধীনতার পর টানা ছয়জন সিইসি নিয়োগ পেয়েছিলেন বিচারপতি থেকে। ১৯৯৬ সাল থেকে এ পদে আমলাদের যাত্রা শুরু হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্বাধীনতার পর দেশে প্রথমবার নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান সাবেক বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর বিচার বিভাগ থেকেই টানা ছয়জন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে ৯ এপ্রিল বিচারপতি থেকে সিইসি হওয়ার প্রথা ভেঙে আমলা থেকে মোহাম্মদ আবু হেনাকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান করা হয়। মোহাম্মদ আবু হেনার পর ২০০০ সালে আরেক আমলা এম এ সাইদকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী নিজের মেয়াদ পূরণ হওয়ার পর ২০০৫ সালে ইসি থেকে অবসরে যান তিনি। এরপর সাবেক বিচারপতি এম এ আজিজের দখলে যায় কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা আরও জানান, ২০০৫ সালে বিএনপি জোট সরকার এম এ আজিজকে নিয়োগ দেয়। এরপর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এম এ আজিজ পদত্যাগ করেন। সাবেক এই বিচারপতির সিইসি পদ থেকে পদত্যাগের পর আরেক আমলা এটিএম শামসুল হুদার দখলে যায় ইসি। এরপর কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ ও সদ্য বিদায়ী কে এম নূরুল হুদা সবাই ছিলেন আমলা। বর্তমানে নতুন সিইসি নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালও সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব ছিলেন। অর্থাৎ সিইসি নিয়োগে বিচারপতিদের চেয়ে আমলারাই এগিয়ে বর্তমানে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে কে এম নূরুল হুদা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মোট ১২ জন নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ৭ জনই সাবেক বিচারপতি ও বাকি পাঁচজন আমলা। এবারের নতুন কমিশন প্রধান আমলা থেকে হওয়াতে সংখ্যার দিক থেকে ইসি হিসেবে বিচারপতির কাছাকাছি চলে এসেছেন আমলারা।
স্বাধীনতার পর যে ১২ জন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও তাদের মেয়াদকাল : ১. কে এম নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ২. কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ৩. ড. এটিএম শামসুল হুদা ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। ৪. বিচারপতি এম এ আজিজ ২০০৫ সালের ২৩ মে থেকে ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি। ৫. এম এ সাইদ ২০০০ সালের ২৩ মে থেকে ২০০৫ সালের ২২ মে। ৬. মোহাম্মদ আবু হেনা ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০০ সালের ৮ মে। ৭. বিচারপতি একেএম সাদেক ১৯৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল। ৮. বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল। ৯. বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের ২৪ ডিসেম্বর। ১০. বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মাসুদ ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১১. বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই থেকে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১২. বিচারপতি মো. ইদ্রিস ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।