নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলতি বছরেরর শেষ দিকে চীনের হ্যাংঝুতে বসছে এশিয়ান গেমসের উনিশতম আসর। এ আসরে উশু ডিসিপ্লিন থাকলেও এখন পর্যন্ত এই খেলায় জায়গা করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে হাল ছাড়েনি উশু ফেডারেশন। ইতোমধ্যে এশিয়াডে অংশ নিতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) আবেদন করেছে তারা। যদিও বিওএ এখনো উশু ফেডারেশনকে এশিয়াডে খেলার ব্যাপারে কিছু জানায়নি। তারপরও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিজে জাতীয় দলকে ভারতে পাঠাচ্ছে দেশের উশুর অভিভাবক সংস্থাটি। উশু ফেডারেশনের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের মাঝামাঝি লাল-সবুজের প্রায় ২০ উশুকা ও দু’জন কোচ দুই মাসের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশ নিতে ভারত যাবেন। সেখানে বিদেশি কোচের তত্বাবধানে ভারত ও বাংলাদেশসহ চার দেশের উশুকারা উন্নত প্রশিক্ষণ নেবেন।
দীর্ঘ আট বছর আগে ইনচন এশিয়ান গেমসে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় উশু দল। ওই আসরে আহামরি সাফল্য না থাকলেও ৪৮দেশের মধ্যে ১২তম স্থান পেয়েছিলেন বাংলাদেশের শিরিন সুলতানা। তবে ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে এই ডিসিপ্লিনটি থাকলেও সেখানে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের। এবারো একই শঙ্কায় পড়েছে উশু ফেডারেশন। চীনের ঐতিহ্যবাহী খেলাটি আসন্ন এশিয়াডে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও খেলতে পারছে না বাংলাদেশ। কারণ এখন পর্যন্ত উশু ফেডারেশনকে হ্যাংঝু এশিয়ান গেমসে খেলতে সবুজ সংকেত দেয়নি বিওএ। আগামী ১০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যাংঝু শহরে অনুষ্ঠেয় আসন্ন এশিয়াডে ১৮টি ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ দলের নাম পাঠালেও উশুর নাম পাঠায়নি বিওএ। তবে এশিয়াডে খেলতে আগ্রহী বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন সপ্তাহখানেক আগে বিওএতে আবেদন করেছে হ্যাংঝুতে খেলার জন্য। এ প্রসঙ্গে উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন শনিবার বলেন, ‘উশু চীনের প্রাচীন খেলা। তাদের নিজস্ব খেলা ধারণ করছি আমরা। সেই চীনেই যদি খেলতে না পারি, তাহলে আমরা কতটা ভাল খেলি তা তারা বুঝবে কি করে? তাই আমরা ইতোমধ্যে এশিয়াডে খেলতে বাংলাদেশ উশুর নাম নিবন্ধনের জন্য বিওএ’কে চিঠি দিয়েছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘মার্চে আমরা দু’মাসের জন্য ভারত পাঠাচ্ছি দেশের ২০ জন উশুকাকে। তাদের সঙ্গে যাবেন দুইজন কোচও। ভারতে যাওয়া ও আসার খরচ আমরা বহন করবো। বাকি সব খরচাপাতি আয়োজকদের। সেখানে চার দেশের উশুকারা উন্নত প্রশিক্ষণ নেবেন। যদি এশিয়াডে সুযোগ পাই, তাহলে ভারতের এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ দলের বেশ কাজে লাগবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।