Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের জঙ্গি দমন দেশ-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:১৬ পিএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গি দমন নিয়ে পুলিশ দেশ-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে। কিছুদিন আগেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করেছেন। জঙ্গি দমন নিয়ে পুলিশের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে নাগরিক সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ জনবান্ধব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এমন একটি পুলিশ বাহিনীর কথা বলেছিলেন। জনতার পুলিশ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মাত্র ৩১ হাজার সদস্য নিয়ে ডিএমপি চলছে, আগামীতে জনবল আরও বাড়বে। মহামারীতে যখন ছেলে মায়ের লাশ ফেলে পালিয়েছে, তখন পুলিশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। একটি টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই শান্তি দরকার। টেকসই শান্তির কাজটি পুলিশ করে যাচ্ছে। রাজধানীতে ধর্মীয়, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পুলিশ ঠিকঠাক দায়িত্বা পালন করছে বলেই আমরা একটি নির্ভরযোগ্য শহরে বসবাস করছি। মন্ত্রী বলেন, পুলিশের যখন যা দরকার হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তা করেছেন। দক্ষতা, জনবল বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নতির কাজও করা হয়েছে। এত জনবহুল শহরে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে, এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, জননিরাপত্তা বিধান পুলিশের বড় দায়িত্ব। শহরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করেই উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়নের অভিযাত্রা সচল রাখতে হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে রাজধানী শান্তিপূর্ণ রাখতে হয়। ডিএমপি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। ডিএমপিকে বাংলাদেশ পুলিশের মুখ হিসেবে বলে থাকি। আগামী দিনগুলোতেও সেবা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইজিপি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশ এককভাবে চেষ্টা করে মানুষের আস্থাভাজন অর্জন করতে পারবে না। পুলিশে যারা দুষ্টলোক আছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের জেহাদ চলছে। টাকা দিয়ে কোন চাকরি ও পদায়ন হবে না। টাকা-তদবির করে ডিএমপিতে কোন কর্মকর্তার পদায়ন হয়েছে, এটা কেউ বলতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্চ দিলাম।

কেবল ধারণার উপর ভিত্তি করে সবসময় আমাদের সমালোচনা করবেন না। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি, থানায় এসে আমাদের সেবা দেখে যান। আমি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলাম, আর আপনি ধারণা থেকে বলে দিলেন ঘুষখোর, তাহলে কি বন্ধুত্ব হবে? এক তরফা বন্ধুত্ব হয় না। আপনারা বলুন- কোথায় কাজ করতে হবে, পরামর্শ দিন, আপনার সেবায় ডিএমপি কাজ করবে।

কমিশনার বলেন, আজকে আমার গায়ে ইউনিফর্ম আছে, কাল হয়তো থাকবে না। আমি আপনার কাতারে চলে আসবো। তাই আমরা এমন বাহিনী রেখে যেতে চাই- যারা আপনার-আমার বিপদে এগিয়ে আসবে, পাশে দাঁড়াবে। বাংলাদেশ পুলিশের যত অর্জন সবকিছুর পেছনে প্রধানমন্ত্রীর হাত রয়েছে, এমনটি মন্তব্য করে কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছোট ছোট কাজের বিষয়েও খোঁজ রাখেন। করোনাকালীন কাজ করে আপনাদের প্রশংসা পেয়েছি। একবার প্রশংসা পেলে আরও ভালো কাজ করে প্রশংসা পেতে মন চায়। আরও ভালোকাজের প্রশংসা পাওয়ার লোভ হয়েছে আমাদের। শুধু আপনারা পাশে থাকবেন।

এর আগে, বেলা ৩টার দিকে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের দিকে যাত্রা শুরু করে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিক কেক কেটে ডিএমপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিএমপির উর্ধতন কর্মকর্তারা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ