বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ভেসে আসা দেশ নয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বহু ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ টিকে থাকার জন্য জন্ম নিয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের রুখে দিবে এবং প্রতিরোধ করবে। গতকাল শুক্রবার দুুপুরে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র, সেচ প্রকল্পের আওতায় কসবা ইউনিট অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার ও আনসার সদস্যদের জন্য ব্যারাক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ, ভাগাভাগি থাকবে না। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কসবা-আখাউড়ার মানুষের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। যুদ্ধে এখানে অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার জীবন, কসবা পৌর মেয়র মো. গোলাম হাক্কানীসহ, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হক বলেছেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলাদেশ সংসদও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ বলে দিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে বিএনপি আন্দোলন করার চেষ্টা করলে আ.লীগের কর্মীরা তা ব্যর্থ করে দিবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বিএনপির রাজনীতি করেন, যারা বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চান, কিন্তু বিএনপি করেন না তারাও দাবি করে আসতে থাকলো আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমি নির্বাচন কমিশন আইন করেছি। এবং আমার কাছে যে, সব ড্রাফট দেওয়া হয়েছিল এগুলো আমি দেখে এগুলোর যথাযথ মর্যাদা দিয়ে সেগুলো থেকে যতটুকু নেওয়া যায় সেগুলো আমি নির্বাচন কমিশন আইনে মধ্যে রেখেছি। তার পরে সংসদ যখন বসেছে, সংসদে যখন এ আইন উত্থাপন হয়েছে তখন বাইশটা সংশোধনী নিয়ে এই আইনটা আমরা করেছি। এখনও বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের।
মন্ত্রী বলেন, আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলাদেশ সংসদও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ বলে দিয়েছেন। আর তাদের আরেকটা দাবি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনও হয়ে গেছে। তো এখন এইসব বাকোয়াস কথা বার্তা বলে আন্দোলন করার চেষ্টা করলে আমার বিশ্বাস আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মী ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলে এই আন্দোলন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।