বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় জেলার মানুষজন বড় বিপাকে পড়েছেন। এদিকে দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারণে গ্রামের অনেক বাড়ি ঘর লন্ড ভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়াও ফসলি জমির তেমন ক্ষতি না হলেও দমকা হাওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার বিভিন্ন স্থানে এ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়ে এসব ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের খবর পাওয়া গেছে। তবে কি পরিমাণ কোথায় কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলার জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন সংবাদকর্মী জানান, আজ আমার উপজেলায় যে পরিমাণ শিলাবৃষ্টি ও দমকা বাতাস হলো তা অনেক দিন পর দেখলাম। তবে আমার উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে হয়তো বা পরে জানা যাবে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের রহিমা বেগম ও সাজেনা বেগম বলেন, আমাদের দুজনের থাকার ঘরের চাল বাতাসে উরে গেছে। এখন রাতে কোথায় থাকবো বুঝতে পারছি না। ঝড় হওয়ার ২-৩ ঘন্টা হয়ে গেল এখন পর্যন্ত কেউ খবরও নিতে আসে নাই।
ওই ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার আরিফ মিয়া বলেন, আমার প্রতিবেশি আতাউর রহমানের ঘর সহ যাবতিও আসবাবপত্র ভাংচুর হয়ে গেছে বাতাসে উনি একজন অতি হতদরিদ্র কৃষক, দিন এনে দিন খায়। এই পরিবারটির উপর সকলের সুদৃষ্টি কামনা করি।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার বলেন, আজকের শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের সময় বাহিরে ছিলাম। ঝড় তো ভালোই হয়েছে শুনেছি তবে আমার ইউনিয়নে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশিদ জানান, কুড়িগ্রামে যে পরিমাণ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলে তাতে কৃষি সেক্টরে তেমন কোন প্রভাব পরবে না। তবে আমের মুকুলের কিছু ক্ষতি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।