Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানদের গুড়িয়ে সিরিজ জিতল টাইগাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৭ পিএম

প্রথম ম্যাচে আফিফ-মিরাজে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের হেঁসে খেলেই হারাল টাইগাররা। শুক্রবার চট্টগ্রামে টাইগারদের দেয়া ৩০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটি করতে নেমে ৪৫.১ ওভারে ২১৮ রানে অলআউট আফগানিস্তান। ফলে ৮৮ রানের বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানরা। টাইগারদের বোলিং তোপে দলীয় ৩৪ রানে তিন উইকেটে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্য। দলের বিপদে ওপেনার রহমত শাহ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। এসময় তাকে সঙ্গ দেন নজিবুল্লাহ জারদান। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫২ রান করে তাসকিনের সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরন তিনি।

এরপর আফগানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে বিদায় নেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। এছাড়া মোহাম্মদ নবী ৩২ ও রশিদ খান করেন ২৯ রান। এছাড়া আফগানদের হয়ে আর কোন ব্যাটার সুবিধা করতে পারেনি। বল হাতে তাসকিন ও সাকিব দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিটনের অসাধারণ সেঞ্চুরি ও মুশফিকের নব্বই ছুঁইছুঁই ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে বল হাতে চার উইকেট নেওয়া ফজল হক ফারুকির বল দেখেশুনে খেলছিলেন তারা। সতর্ক শুরুর পরই ইনিংসের সপ্তম এলবিডব্লিওর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি।


রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ২৪ বলে ১২ রান করে সাঝঘরে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। ক্যাপ্টেন তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে থিতু হতে লিটনের সাথে জুটি গড়েন সাকিব। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১৫.২ ওভারে আফগান স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ২০ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

এরপর ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসকে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। দুজনের দারুণ ব্যাট উপহার দেন। এরপর দ্রতই অর্ধশতক তুলে নেন লিটন আর মুশফিক। ফিফটির দেখা পাওয়ার লিটনের ব্যাট আরও চওড়া হতে থাকে। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে একবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার পরে সেঞ্চুরি তুলে নিতে খুব বেশি দেরি করেননি। ১০৭ বলে পূর্ণ করেন পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এরপর ব্যক্তিগত ৬৯ রানে স্ট্যাম্পিং মিসে জীবন পান মুশফিকও।


লিটন সেঞ্চুরি পেলেও মুশফিক পাননি। তবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩ হাজারি ক্লাবে পা রেখেছেন তিনি। তার আগে আছেন শুধু তামিম (১৪১৭৫ রান)। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দেড়শ ছোঁয়ার পথে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ৪৭তম ওভারে আফগান পেসার ফরিদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ১২৬ বলে ১৩৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা ডানহাতি ওপেনার। ইনিংসটি খেলার পথে ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।


একই পেসারের পরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা মুশফিকও। বিদায়ের আগে ডানহাতি এই ব্যাটার ৯৩ বলে ৯ চারে ৮৬ রান করেছেন। তাদের জুটিতে আসে ১৮৬ বলে ২০২ রানে। শেষদিকে ৫ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন প্রথম ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন। বল হাতে আফগানিস্তানের ফরিদ ২টি এবং ফারুকি ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ