মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে হামলা চালাতে চেরনোবিলের মতো একটা বিপজ্জনক এবং নিষ্ক্রিয় জায়গাকেই কেন বেছে নিল রাশিয়া? উত্তর হল ভৌগোলিক অবস্থান।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে চেরনোবিল। এখানেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৮৬ সালে। যার জেরে ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী দেশ বেলারুশেও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই তেজস্ক্রিয়তার সরাসরি এবং পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। যা বিশ্বে সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনা হিসেবে এখনও পরিচিত।
সেই ঘটনার পর চার দশকের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। চেরনোবিলে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা খানিক কমলেও পরমাণু কেন্দ্রটি নিষ্ক্রিয় অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। তবে এখনও মাইলের পর মাইল এলাকা বিপজ্জনক বলেই চিহ্নিত। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যখন টানাপড়েন বাড়তে শুরু করেছিল, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছিল, তখন থেকেই চেরনোবিলকে নিজেদের কব্জায় নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছিল রাশিয়া।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে ঢুকতে গেলে চেরনোবিলকে কব্জা করাই ছিল তাদের কাছে সহজ রাস্তা। কেননা, চেরনোবিল থেকে বেলারুশের দূরত্ব বেশি নয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখল করতে গেলে চেরনোবিলকে আগে কব্জা করা প্রয়োজন ছিল। কারণ রাশিয়া চাইছিল দ্রুত হামলা। আর সেটার জন্য বেলারুশ থেকে কম দূরত্বের রাস্তা চেরনোবিল। রাশিয়ার শরিক দেশ বেলারুশ।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার ঝামেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই বেলারুশে রুশ সেনাদের মোতায়েন করা হচ্ছিল। যাতে যুদ্ধ লাগলেই সেখান থেকে প্রথমে চেরনোবিল কব্জা করা যায়। এবং সেখান থেকে কিয়েভ দখল করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই পরিকল্পনা করেই এগিয়েছে রাশিয়া। চেরনোবিল দখল করেছে। ইতিমধ্যেই কিয়েভে পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনারা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।