Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একাই লড়ছে ইউক্রেন: জেলেনস্কি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৩৩ পিএম

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আজ (শুক্রবার) ভোরে এক ভিডিও ভাষণে বলেছেন, ইউক্রেন একাই যুদ্ধ করছে। এ যাবত ইউক্রেনের ১৩৭ জন লোক নিহত এবং ৩১৬ জন আহত হয়েছে। এর আগে তিনি ৯০ দিনের জন্য দেশব্যাপী সামরিক শাসন জারি করেন।

ভাষণে ইউক্রেনকে বাস্তব সমর্থন না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছে জেলেনস্কি বলেন, কোন দেশ ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা করতে ভয় পাবে না ইউক্রেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রধান এবং প্রথম টার্গেট তিনি। দ্বিতীয় টার্গেট তার পরিবার। তাকে খতম করে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দিতে চাইছেন।

ওই বিবৃতির কিছু পরেই প্রেসিডেন্ট জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিনে ১৩৭ জন ইউক্রেনের নাগরিকের প্রাণ গেছে। তার মধ্যে সেনাও আছে, সাধারণ মানুষও আছে। সেনা এবং সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার হিসেব আলাদা করে তিনি দেননি। ইউক্রেন জানিয়েছে, দেশের ভিতরে রাশিয়া একাধারে বিমান হামলা চালাচ্ছে, মিসাইল আক্রমণ করছে এবং স্থলপথে বহু সেনা ইউক্রেনের সীমান্ত পার করে ভিতরে ঢুকে পড়েছে। চেরনোবিল-সহ একাধিক জায়গা তারা দখল করতে করতে এগোচ্ছে। বস্তুত, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তারা কিয়েভের আরো কাছে পৌঁছাতে পেরেছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দিতে চাইছেন পুতিন। সে কারণেই তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে খতম করতে চাইছেন। জেলেনস্কির দাবি, তিনি কিয়েভে প্রশাসনিক ভবনেই আছেন। তার পরিবারও কিয়েভে আছে। তবে তাদের ঠিকানা তিনি জানাননি।

এদিন তিনি জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুতিন তার সঙ্গে কথা বলেননি। দেশের মানুষকে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তিনি। সেনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তিনি ইউক্রেনকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে তার বক্তব্য, এই লড়াই ইউক্রেনকে এখনো পর্যন্ত একা লড়তে হচ্ছে। অ্যামেরিকার দাবি, সঙ্কট শুরু হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় এক লাখ মানুষ অন্য দেশে পালিয়েছেন।

জেলেনস্কির অনুরোধে বৃহস্পতিবার পুতিনকে ফোন করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পুতিন রাজতন্ত্রের সময়ে ফিরে গেছেন। যুদ্ধ করে সবকিছু দখল করে নিতে চাইছেন। ইউরোপও যে চুপ করে বসে নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ম্যাখোঁ। জানিয়েছেন, ইউরোপ কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে এর জবাব দিচ্ছে। তবে ইউরোপ সরাসরি লড়াইয়ে নামবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সূত্র: সিআরআই, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ