Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ছয় গোলের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে সাইফের ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৫১ পিএম

ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ছয় গোলের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে শিরোপা প্রত্যাশি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজেদের হোম ভেন্যু মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সাইফ ৩-৩ গোলে ড্র করে চট্টগ্রামের দলটির বিপক্ষে। তিন পেনাল্টির এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন বন্দরনগরীর আকাশী-হলুদদের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পিটার থ্যাংকগড। সাইফের পক্ষে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা দুই ও স্থানীয় ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেন একটি গোল করেন।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় সাইফ। যার ফলে ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। এসময় উজবেক মিডফিল্ডার আসরর গফুরভের লং পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে চট্টগ্রামের বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে ঘুরে ডান পায়ের জোড়ালো শটে গোল করেন সাজ্জাদ (১-০)। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+২ মিনিট) পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরে চট্টগ্রাম আবাহনী। এসময় চট্টগ্রামের থ্যাংকগডের একটি শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে হ্যান্ডবল করেন সাইফের ডিফেন্ডার আবিদ আহমেদ। তার হাতে বল লাগায় চট্টলার পক্ষে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক থেকে পিটার থ্যাংকগড ডান পায়ের শটে গোল কেেরন (১-১)। সমতা নিয়ে দু’দল বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও চারটি গোল হয়েছে।

ম্যাচের ৫৮ মিনিটে জামাল ভুইয়ার পাসে চট্টগ্রামের বক্সে বল পেয়ে শট নিতে গিয়েছিলেন আসরর গফুরভ। কিন্তু নিজেদের বক্সে তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন চট্টলার নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার কেহিন্দে ঈসা। এবার সাইফের পক্ষে পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি মিজানুর রহমান। ৫৯ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা স্পট কিক থেকে গোল করলে ফের এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং (২-১)। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে জামাল ভূঁইয়ার কর্ণারে বল পেয়ে বক্সে ক্রস করেছিলেন ফাহিম। কিন্তু বক্সে বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সাজ্জাদ। পরের মিনিটেই সাজ্জাদের ভুলের মাসুল দেয় সাইফ স্পোর্টিং। ৬৭ মিনিটে সোহেল রানার পাসে বল পেয়ে সাইফের রক্ষণভাগের দুর্বলতায় বক্সে ঢুকে শটে গোল করে ফের চট্টগ্রামকে সমতায় ফেরান থ্যাংকগড (২-২)। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমেকার বাড়ানো বল বক্সে বুকে রিসিভ করতে গিয়েও ব্যর্থ হন সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন উদোহ। জটলার মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গেলে বল লাগে চট্টগ্রাম আবাহনীর বদলী মিডফিল্ডার কৌশিক বড়–য়ার হাতে। আরো একটি পেনাল্টি হয় ম্যাচে। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এমেকা গোল করলে আবারও এগিয়ে যায় সাইফ (৩-২)। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+৩ মিনিট) পিটার থ্যাংকগডের শট সাইফের গোলরক্ষক মিতুল ফিরিয়ে দিলেও বক্সে ফিরতি বলে দারুণ হেডে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পাশাপাশি দলকে হারের হাত থেকে রক্ষা করেন থ্যাংকগড (৩-৩)। এরপরই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। এই ড্রতে পাঁচ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় চতুর্থস্থানে চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

এদিন একই সময়ে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ২-০ গোলে হারায় উত্তর বারিধারা ক্লাবকে। ম্যাচ জিতে পুলিশ পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম ও বারিধারা সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে দশমস্থানে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ