মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছবির মতো সুন্দর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। দারুণ সাজানো-গোছানো, যে-কোনো ইউরোপীয় শহরকে টেক্কা দিতে পারে। এই শহরটা যে ১৬০০ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত, সেটা যেন কিভের প্রত্যেক অলিগলি বারবার মনে করিয়ে দেয়। রাস্তাঘাট ঝকঝকে পরিষ্কার, চারপাশে সবুজের সমারোহ। আর তার মধ্যে অসাধারণ স্থাপত্যের সব গির্জা ও প্রাসাদ।
গথিক, বারোক, বাইজ়েন্টাইন— বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন সেগুলি। কিন্তু তারই মধ্যে বেশ কিছু নিষ্প্রাণ স্থাপত্য সাবেক সোভিয়েত দেশের কথা মনে করিয়ে দেয়। ইউক্রেন যে এক কালে তারই অংশ ছিল। এই সব প্রাসাদোপম স্থাপত্যগুলো ইউক্রেনের সোভিয়েত-অতীতের কথা মনে করিয়ে দিলেও কিয়েভের সাধারণ মানুষ কিন্তু সে সব কথা শুনতে আদপেই পছন্দ করেন না। কাফে বা রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে সুভেনিরের দোকান— যেখানেই রাশিয়ার কথা তুলা হোক, মানুষজন সেই সব কথাবার্তা একেবারে এড়িয়ে যান, না হলে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
যেমন ধরুন মাত্রিয়োস্কা ডল। বড় পুতুলের মধ্যে মেজো পুতুল, তার মধ্যে সেজো পুতুল, আবার সেজোর মধ্যে আরও খুদে ছোট্ট পুতুল। এই ধরনের পুতুল-সেটকে আমরা সাধারাণত রুশ পুতুল বলেই জানি। কিন্তু ইউক্রেনের কোনও দোকানে গিয়ে আপনি যদি ‘রুশ পুতুল’ দেখতে চান, তা হলে আপনার কথা না-শোনার ভাণ করবেন মনক্ষুণ্ণ দোকানি।
ক্রাইমিয়া-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন ‘বিচ্ছিন্ন’ প্রদেশ নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্ব সাধারণ মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। রাজনীতি নিয়ে যারা বিশেষ মাথা ঘামান না, সেই সব সাধারণ ইউক্রেনবাসীও রাশিয়াকে অতিসক্রিয় অবাঞ্ছিত প্রতিবেশী হিসেবেই গণ্য করে। এখন ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছবি সম্বলিত টয়লেট পেপার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। যুদ্ধের ডঙ্কা বাজতে শুরু করার পরে সেই বিশেষ ‘সুভেনির’-এর বিক্রি দিন দিন আরও বাড়ছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।