মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছোট হলেও কিন্তু সংসারের অতি প্রয়োজনের জিনিস। যেমন সেফটিপিন-সুই। তেমনি সেভ করার জন্য দরকারি জিনিস হল ব্লেড। এর বাইরেও ব্লেড গৃহস্থালীর কত টুকিটাকি কাজে লাগে। ব্লেডের মোড়ক বদলেছে। কিন্তু একটা জিনিস বদলায়নি গত ১২০ বছরে। তা হল ব্লেডের চেহারা। ভাল করে বললে ব্লেডের অদ্ভুত নকশা। কেন জানেন?
এর উত্তর জানতে হলে ব্লেড তৈরির ইতিহাস জানতে হবে। যে ইতিহাস লিখেছিল ব্লেড প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিলেট। ১৯০১ সালে ব্যবসা শুরু করে জিলেট। ১৯০৪ সালে তারা বাজারে আনে ‘কিং ক্যাম্প’ নামের একটি ব্লেড। কিং ক্যাম্প জিলেট আসলে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার। তার নামেই কোম্পানি, তার নামেই ব্র্যান্ড। যা দ্রুত জনপ্রিয় হয়।
মজার বিষয় হচ্ছে পরবর্তী ১০০ বছরে বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বের যত কোম্পানির ব্লেড বাজারে এসেছে, সবগুলোই ওই একই নকশার। বিশেষত ব্লেডের মাঝের ফাঁকা অংশের নকশা এবং ব্লেডের মাপ কখনই বদলায়নি। তার কারণ ছিল।
আসলে সেকালে রেজারের হাতলের সঙ্গে ব্লেডটিকে যুক্ত করার জন্য যে ফাঁকা অংশ রাখা হয়েছিল ব্লেডের মাঝখানে, তা পরবর্তীকালে অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু তা অত্যন্ত কার্যকরি বলে প্রমাণিত হয় এবং দ্রুত জনপ্রিয়ও হয় জিলেটের ওই নকশা।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে শেভিং ব্লেড মানেই ওই আকৃতি ও মাপকেই বোঝে গ্রাহক। পরবর্তীকালে সব সংস্থাই তাই ওই নকশা মেনেই ব্লেড তৈরি করে। সাম্প্রতিককালে শেভিং ব্লেডের সংজ্ঞা বদলে গেছে। ইলেকট্রিক শেভিং মেশিনও এসেছে বাজারে।
তারপরও বিশ্বের অনেক মানুষের পছন্দ পুরনো স্টেনলেশ স্টিলের শেভিং ব্লেড। একাধিক প্রজন্ম ধরে যার চেহারায় বদল আসেনি। দাড়ি কাটার জন্য হোক বা পেন্সিল কাটার জন্য, এখনও পাড়ার মুদির দোকানে গেলে মেলে শতাধিক বছরের পুরনো নকশার সেই ব্লেড। সূত্র : ডেজার্ট সান, ফিফটিপ্লাস অ্যাডভোকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।