বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে নতুন করে করোনভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহে ২১ শতাংশ কমেছে। এ দিয়ে টানা তৃতীয় সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমেছে।

সাপ্তাহিক মহামারী প্রতিবেদনে, ডব্লিউএইচও বলেছে, গত সপ্তাহে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বব্যাপী ৮ শতাংশ কমে প্রায় ৬৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে, জানুয়ারির শুরু থেকে এই প্রথমবার সাপ্তাহিক মৃত্যু কমেছে।

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরই একমাত্র অঞ্চল যেখানে কোভিড-১৯ কেস (২৯ শতাংশ) বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যত্র সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও আফ্রিকায় নতুন মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে যখন অন্য সব জায়গায় কমছে। রাশিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বাধিক সংখ্যক নতুন কোভিড-১৯ কেস দেখা গেছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে, উপলব্ধ ভ্যাকসিন প্রমাণ দেখায় যে ‘বুস্টার ভ্যাকসিনেশন যথেষ্ট কার্যকারিতা দেখিয়েছে’ ওমিক্রন বৈকল্পিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা এও বলেছে যে, এই ধরনের সুরক্ষা কতক্ষণ স্থায়ী হয় সে সম্পর্কে আরও বিশদ এখনও প্রয়োজন। সংস্থাটি আগে বলেছিল যে, সুস্থ লোকেদের জন্য বুস্টারগুলি প্রয়োজনীয় ছিল এমন কোনও প্রমাণ নেই এবং ধনী দেশগুলোকে তাদের ভ্যাকসিন দরিদ্র দেশগুলোর সাথে ভাগ করে নেয়ার আগে তাদের জনগণকে তৃতীয় ডোজ না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘বিএ.২ নামের করোনার নতুন স্ট্রেনটি উদ্বেগজনক। এটিকে অবশ্য ওমিক্রনেরই নতুন রূপ হিসেবে ধরতে হবে।’ ওই নতুন স্ট্রেনটিকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলছে সংস্থাটি। তবে সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, এখনই এই স্ট্রেনকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা এটা বেশি ছোঁয়াচে হলেও না মূল স্ট্রেনটির মতো ভয়ংকর নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে ওমিক্রনের এই নতুন রূপভেদটি ইতিমধ্যেই ডেনমার্কের প্রধান স্ট্রেন হয়ে উঠেছে। ব্রিটেনেও এর দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সেই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানেও এর সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য সতর্ক করেছেন যে ভাইরাসটিকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে এটি এখনও সম্ভব যে কোভিড-১৯ এর আরও সংক্রমণযোগ্য এবং মারাত্মক রূপগুলি এখনও আবির্ভূত হতে পারে। সূত্র: এপি।