পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে প্রতিকার চাইতে রিট ফাইল করতে বললেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন। শরীফউদ্দীনের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর দেয়া চিঠির বিষয়ে শুনানি করতে গেলে আদালত উপরোক্ত পরামর্শ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি জানান, চাকরিচ্যুত দুদক কর্মকর্তা শরীফউদ্দীনের নির্দেশনা চেয়ে আমরা গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে চিঠি দেই। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ওই চিঠির কপি দেয়া হয়। চিঠিতে হাইকোর্ট রুলসের (সংশোধিত) বিধি অনুসারে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদন (রিট) হিসেবে বিবেচনারও আরজি জানানো হয়।
গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে অ্যাডভোকেট শিশির মনির আদালতকে বলেন, আদালতের কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এর কপি পেয়েছেন কি?’ তখন আদালত বলেন, ‘ইয়েস। আমরা দেখেছি। আপনি যদি মনে করেন, তাহলে রিট দায়ের করেন। এতে অসুবিধা কোথায়?’
জবাবে শিশির মনির বলেন, হাইকোর্ট রুলস অনুসারে চিঠিটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত বলেন, ‘আপনার রিট করতে বাধা তো নেই। যথাযথ আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। আমাদের মাধ্যমে সুয়োমটো (স্বতঃপ্রণোদিত) না করে আপনি আবেদন নিয়ে আসতে পারেন, যদি আপনি প্রকৃত অর্থে দুদকের ওই কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন।’
তখন শিশির মনির বলেন, ‘হাইকোর্ট রুলস অনুসারে এবং রুলসে যে কথা আছে।’ তখন আদালত বলেন, ‘হাইকোর্ট রুলস যেটি পড়ছেন, তা সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা পারি। তবে যেহেতু বিষয়টি আপনার নলেজে আছে, আপনি আমাদের সরবরাহ করছেন, আপনার কাছে আবেদনকারী আছে, তাহলে যথাযথ আবেদন নিয়ে সরাসরি আসতে প্রবলেম কী?’
তখন শিশির মনির বলেন, ‘কোনো প্রবলেম নেই।’
আদালত বলেন, সাধারণত যেগুলো জনস্বার্থে হয়, সেগুলো করি (স্বতঃপ্রণোদিত)। এটি তো একটি ব্যক্তিগত সংক্ষুব্ধতা।’
শিশির মনির বলেন, এটি জনস্বার্থ বলছি এ জন্য যে এটি দুদকের ভাবমর্যাদার প্রশ্ন। কারো পক্ষে-বিপক্ষে বলছি না।’ আদালত বলেন, ‘পিটিশনার কে?’ তখন শিশির মনির বলেন, ‘এখানে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে এসেছি। আমি কারো পক্ষে-বিপক্ষে নই। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এসেছে, যা আদালত দেখতে পারেন।’
আদালত বলেন, ‘দরখাস্ত দেন, দরখাস্ত দিতে বাধা তো নেই। যা কিছু আছে, তা যুক্ত করে, কীভাবে সংক্ষুব্ধ হলেন ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের কাছে আসেন।’
তখন শিশির মনির বলেন, ‘ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থে যে এখানে ইমেজের বিষয়টি এসেছে। এই ইমেজ সংরক্ষণ করা আমাদের সবারই দায়িত্বÑ কোনো ব্যক্তিবিশেষের দায়িত্ব নয়।’
আদালত বলেন, ‘সুয়োমটো না দিয়ে আপনি যদি সব যুক্তি, স্টেটমেন্ট ও ফ্যাক্ট দিয়ে নিয়ে আসেন (রিট আবেদন), তাহলে আরো ভালো হবে না? এটি আরো সমৃদ্ধ হবে। আপনি যদি সব ফ্যাক্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, তাহলে বিষয়টি বুঝে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া আরো সহজ হবে।’
শিশির মনিরের উদ্দেশে আদালত আরো বলেন, ‘আপনি যদি মনে করেন, প্রকৃত অর্থে সংক্ষুব্ধ হন, আইন অনুসারে যেভাবে আসা উচিত, সেভাবে আসেন। শিশির মনির বলেন, আইন অনুসারে আমি আদালতে আসব।’
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘তাহলে ওই চিঠির স্ট্যাটাসটি কী হবে? প্রত্যাখ্যান?’ আদালত বলেন, ‘এটি ফেরত দেয়া হবে। এটি ফেরত নিন।’ তখন শিশির মনির বলেন, ‘এটি আদালতের কাছে থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। আদালতের কাছে থাকুক।’ আদালত বলেন, ‘থাকুক।’ এ সময় সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে যুক্ত ছিলেন।
১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শরীফকে নিয়ে গণমাধ্যমে আসা ৯টি প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই চিঠি দিয়েছিলেন শিশির মনিরসহ ১০ আইনজীবী। অপর নয় আইনজীবী হলেন- রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আব্দুল্রাহ খান, সৈয়দ মৈাহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুর ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।