পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান করতে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা আসার পর মন্ত্রীসভায়ও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করতে ৩ বছর আগে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। ২০১৯ সনের ১০ মার্চ প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর দেয়া ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সালমান এফ রহমান তার প্রস্তাবে বলেছিলেন, সংবিধান সংশোধন করে যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে একইভাবে সংবিধান সংশোধন করে ‘জয় বাংলা’কে যেন জাতীয় স্লোগান করা হয়।
সালমান এফ রহমান তার বক্তব্যে প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি মহামান্য প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, উনি ওনার ভাষণে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমি বিশেষ করে প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাতে চাই যে, উনি জয় বাংলা বলে ওনার ভাষণটা শেষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনের সময় বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ এবং কর্মী আমাকে সমর্থন করেছিলেন।
তারা যখন তাদের বক্তব্য শেষ করলো তখন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যারা ছিলেন তারা সবাই বললেন, জয় বাংলা বলেন, জয় বাংলা বলেন। আমি দেখলাম যে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির যারা আমাকে সমর্থন করছিলেন তারা কিন্তু দ্বিধায় পড়ে গেলেন, লজ্জা পেলেন। কিন্তু চাপে জয় বাংলা বললেন। আমার যখন সময় আসলো বক্তব্য দেয়ার আমি তখন বললাম যে, আমি আশ্চর্য হচ্ছি যে, আপনারা ‘জয় বাংলা’ বলতে লজ্জা পাচ্ছেন কেন। আপনারা ‘জয় বাংলা’ বলতে দ্বিধা করছেন কেন? ‘জয় বাংলা’ কিন্তু আওয়ামী লীগের বা কোনো দলীয় স্লোগান নয়। ‘জয় বাংলা’ কিন্তু জাতীয় স্লোগান।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা যখন ছাত্র আন্দোলন করেছিলাম আমরা জয় বাংলা স্লোগান এর ওপরে আন্দোলন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন মুক্তিবাহিনী জোর গলায় ‘জয় বাংলা’ বলতো তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বুক কাঁপতো। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উনি ‘জয় বাংলা’ বলে শেষ করেছিলেন। আমি বুঝিনা ‘জয় বাংলা’ দলীয় সেøাগান কেমনে হইলো। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান এর উপরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জয় বাংলা স্লোগান এর উপরে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা হলো আমাদের দেশের স্লোগান। এটা হলো আমাদের জাতীয় স্লোগান। অনেক সময় আমি সরকারি অনুষ্ঠানে দেখি যে আমরা যারা রাজনীতিবিদ আমরা আমাদের বক্তব্যটা ‘জয় বাংলা’ বলে শেষ করি। কিন্তু যারা সরকারি কর্মকর্তা আছেন- তারা কিন্তু ‘জয় বাংলা’ বলে শেষ করেন না। আমি জিজ্ঞেস করেছি আপনারা ‘জয় বাংলা’ বলেন না কেন? ওনারা বলছেন, আমরাতো সরকারি কর্মকর্তা। আমাদেরকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আমরা যদি ‘জয় বাংলা’ বলি আমরা দলীয় হয়ে যাবো। আমরাতো নির্দলীয়।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমার কাছে এটা আশ্চর্য লাগে। যে দেশটা ‘জয় বাংলা’স্লোগানে স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কারণে তারা পদে আছেন। ওনারা কীভাবে বলেন যে এটা নির্দলীয় স্লোগান নয়। আমি যে কথাটা বলতে চাইছি প্রেসিডেন্ট ভাষণটা শেষ করেছেন জয় বাংলা বলে। আপনারা কী বলবেন যে প্রেসিডেন্ট এখন দলীয় হয়ে গেলেন। উনি শুধু আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট। সারা দেশের প্রেসিডেন্ট নন।
স্পিকারের উদ্দেশ্যে সালমান এফ রহমান বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে প্রস্তাব করতে চাইছি, এই মহান সংসদে ঠিক যেমন আমরা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা সংবিধান সংশোধন করে ঘোষণা করেছি ঠিক তেমনি ‘জয় বাংলা’কে আমরা জাতীয় স্লোগান হিসেবে সংবিধানকে সংশোধন করে যেন ঘোষণা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।