পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় এক ছাত্রলীগ নেতাকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের নেত্রী বেনজীর হোসেন নিশির বিরুদ্ধে। এই ধরনের আরেকটি অভিযোগে ইতোমধ্যেই চলমান একটি মামলার আসামী নিশি। গতকাল সোমবার একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ছাত্রলীগ নেত্রী।
অভিযুক্ত নিশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। আর আহত মো. এহসানুল হক ইয়াসির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। বর্তমানে সলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী তিনি।
ইয়াসির বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে আমরা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুল দিতে যাই। সেখানে যাওয়ার সময় আমাদের পেছনে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় হঠাৎ করে বেনজীর হোসেন নিশি এসে তার মোবাইল দিয়ে আমার মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গে থাকা পরিচিতরা আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে দেওয়া হয় চিকিৎসা। তিন-চারটি সেলাই লেগেছে আমার।
তিনি বলেন, এখন আমি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে আমার। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
তবে ইয়াসিরকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেনজীর হোসেন নিশি। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, শহীদ মিনারে কারো সঙ্গে আমার বিবাদ হয়নি। এমন কিছু হয়েছে আমি জানিও না। ফুল দিয়ে সভাপতি স্রাদারণ সম্পাদকের সাথে চলে এসেছি। আহত ছাত্রলীগ নেতা কেনো আমার নাম বলছে জানি না। আমার বিরুদ্ধে কোন একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরো বলেন আমি শুধু জেনেছি, শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়া কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে কে বা কারা শ্লীলতাহানি করছিল।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ বারবার আসা মানে এটা এখন আর ভুলের কাতারে পড়ে না। এটা অন্যায় এবং এ ধরনের কাজ করার প্রতি তার অসৎ মনোবৃত্তি। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সভাপতি- সম্পাদকেরও গাফিলতি দেখছেন রিয়াদ। তিনি বলেন, একটা ভুল করার পর যদি আমাকে জবাবদিহি না করা হয় তাহলে তো আমি একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করব। এবং তখন এটা আর ভুলের পর্যায়ে থাকবে না। সুতরাং নিশির বিষয়টি নিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা কোনোভাবে দায় এড়াতে পারেন না। কারণ একটার পর একটা অন্যায় করে যাচ্ছে কিন্তু কোনো জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে - এটা করে অন্যায়ের প্রতি আরো উৎসাহিত করা হচ্ছে। সুতরাং খুবই দুঃখজনক। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ যদি এটার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তা আরও বড় দুঃখের বিষয়।
এসব বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে ফাল্গুনী দাস তন্বী নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে বেনজীর হোসেন নিশির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আদলতে মামলাও হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করে সেই মামলার। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিৎলত এই ছাত্রলীগ নেত্রীসহ তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই মামলা এখনো চলমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।