মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন শিক্ষার্থীরা। মধ্য কলকাতার এন্টালিতে ছাত্র পরিষদের সদস্যদের পুলিশ বাধা দিলে ধুন্ধুমার বাধে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের শিক্ষার্থীরা বড় হোর্ডিং, ব্যানার হাতে পথে নামেন। তাদের মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে যায় কলেজ স্ট্রিটের একাংশ।
আনিস হত্যাকাণ্ডে রবি ও সোম – দু’দিন ব্যাপী রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এদিন ধর্মতলা থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন বামপন্থী শিক্ষার্থীরা। আনিস খুনের সুবিচার চেয়ে আলাদা মিছিলে শামিল হন বিশিষ্টরাও।
রবিবার এসএফআই-য়ের বিক্ষোভ মিছিলে অশান্তি ছড়িয়েছিল আমতা থানায়। থানার সামনের গার্ডরেল ভেঙে থানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এছাড়া বিভিন্ন জেলাতেও বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। আর সোমবার কলকাতার রাজপথে ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল।
এদিন এসএফআইয়ের পাশাপাশি মিছিল করে ছাত্র পরিষদও। এন্টালির কাছে তাদের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তাতেই দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু তা মানতে নারাজ ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
অন্যদিকে, বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এদিন কলকাতার রাস্তায় আনিস খানের খুনের বিচারের দাবিতে মিছিলে শামিল হন। একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা দিবসের মিছিলে হাঁটতে বাম সমর্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আনিস খানকেই সামনে রাখলেন। তাদের ফেস্টুনে লেখা – আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, তার পাশে আনিস খানের ছবি। মিছিলের মুখ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফুয়াদ হালিম, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, বাদশা মৈত্র।
সকলের একটা দাবি, তরতাজা ছাত্রনেতার খুনের ঘটনায় সুবিচার চাই। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিট গঠন করে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। উল্রেখ্য, গত শুক্রবার হাওড়ার আমতায় পুলিশ সেজে বাড়িতে ঢুকে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে খুনের অভিযোগ ওঠে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয় সব মহল। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।