Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৩০০ সিংহকে রক্ষা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

গির অভয়ারণ্যের ‘শেরনি’ তিনি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই বন্যপ্রাণীদের বাঁচিয়ে চলেছেন। তিনি রসিলা ভাদের। ২০০৭ সালে বন দফতরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন রসিলা। এরপরেই কাজ শুরু করেন। বন্যপ্রাণী উদ্ধারের কাজে যোগ দেওয়া প্রথম মহিলা কর্মী তিনি। এর আগে গাইডের কাজ করতেন।
আইএফএস অফিসার পারভিন কাসওয়ানের দাবি অনুযায়ী, ৩৬ বছর বয়সী রসিলা ভাদের এখনও পর্যন্ত হাজারেরও বেশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘৩০০টি সিংহ, ৫০০টি লেপার্ড, কুমির এবং পাইথন উদ্ধার করেছেন রসিলা ভাদের। কুয়োয় পড়ে যাওয়া বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করেন তিনি। তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন নিজ দক্ষতায়। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যখন তিনি হাঁটেন, তখন লায়ন কিংয়ের তুলনায় বেশি মনোবল দেখা যায় তার মধ্যে।’
রসিলার এই সাহসিকতার কাহিনী প্রকাশ্যে এনেছেন পারভিন। শেয়ার করেছেন সাহসিনীর নানা ছবিও। গুজরাটের বন দফতরের প্রথম মহিলা দলের অংশ ছিলেন রসিলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি তাদের যত্ন করার কাজ করেন রসিলা। গিরের বন্যপ্রানীদের পাচার করা আটকানোর কাজও দক্ষতার সঙ্গেই করে চলেছেন তিনি। সেই কারণেই তার কাজটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে রসিলা প্রথমবারের জন্য জঙ্গলে গিয়েছিলেন। জীবজন্তুদের আরও কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলেন তিনি। যত্ন করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই উদ্ধারকাজে সামিল হন। এখনও পর্যন্ত বহু জীবজন্তুকে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। পশুদের উদ্ধারের পরেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। তাদের পোষ মানিয়ে ওষুধ লাগানো, খাবার খাওয়ানো, ইনজেকশন দেয়ার মতো কাজ করতে হয়। যা দায়িত্ব নিয়েই করেন রসিলা। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ