মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কপালে বুলেট বিঁধলেও হেসেখেলে মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছেন রাশিয়ান এক সেনা। এতেই শেষ নয়। ওই বুলেটটি প্লায়ার্স দিয়ে টেনে বার করেছেন তার সঙ্গীরা।
প্রায় এক দশক আগে ২০১৩ সালে এ ধরনের একটি ভিডিওই তুমুল হইচই ফেলে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। ওই সেনাকে অনেকেই আর্নল্ড শোয়ারজেনেগার অভিনীত চরিত্র ‘দ্য টার্মিনেটর’ নাম দিয়েছিলেন। অনেকের মতে, ওই ভিডিওটি ২০০০ সালের। চেচনিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানের সময়কার। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে ভাইরাল ভিডিওটিতে যা সব দেখা গিয়েছে, তাতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
রাশিয়ান সেনার বাঁ-চোখের সামান্য উপরে কপালে গেঁথে রয়েছে আস্ত একটি বুলেট। তার খানিকটা অংশ কপালের বাইরে বেরিয়ে রয়েছে। দিনের আলোয় তা যেন জ্বলজ্বল করছে। যিনি বুলেটবিদ্ধ, তিনি একেবারেই নির্বিকার। হাসিমুখেই ক্যামেরার সামনে মুখ ঘোরাচ্ছেন। এতেই শেষ নয়। সেনায় তার সঙ্গীরা একটি প্লায়ার্স দিয়ে ওই বুলেটটি টেনে বার করে নিচ্ছেন।
নেটদুনিয়ার অনেকের মতে, চেচনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় প্রতিপ্রক্ষের একে-৪৭ রাইফেলের বুলেটই গেঁথে গিয়েছিল ওই রাশিয়ার সেনার কপালে। বুলেটবিদ্ধ হওয়ায় কোথায় যন্ত্রণায় কাতরাবেন, তা নয়। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বেশ নির্বিকার ভঙ্গিতেই রয়েছেন তিনি। কালো কাপড়বাঁধা কপাল থেকে বুলেট টেনে খুলে বার করছেন অন্যান্য সেনা। যুদ্ধের ময়দানে এই ‘অস্ত্রোপচারে’ খানিকটা ‘ধর তক্তা, মার পেরেক নীতি’-ই নিয়েছেন রাশিয়ান সেনারা।
যুদ্ধের ময়দানে বুলেটে জখম সেনাকে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তবে ওই ভিডিওতে তার কোনও জবাব মেলেনি। বরং একটি চিমটের আকারের প্লায়ার্স দিয়ে ওই বুলেটটি বার করার চেষ্টা করছেন সেনার সঙ্গীরা। গোটা ‘অস্ত্রোপচারে’র সময় হাসিমুখে থেকেছেন রাশিয়ার ওই সেনা। বুলেট বার করার পর কপালের রক্ত মুছে দিয়েছেন তার সঙ্গীরা। ক্ষতটি অপরিষ্কার রয়েছে কি না, তা-ও দেখে নিয়েছেন তারা। তার পরের কাণ্ড আরও অবাক করা!
বুলেট বার করার পর নিজেই হাতেই ক্ষত পরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছে ওই সেনাকে। তাতেও যন্ত্রণা ফুটে ওঠেনি তার চোখেমুখে। বুলেট বার হওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে স্বস্তিতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়েও একগাল হাসি দিয়েছেন তিনি। এ সব দেখে হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ারজেনেগারের ‘দ্য টার্মিনেটর’ ছবির কথাই মনে পড়েছে নেটমাধ্যমের বাসিন্দাদের। কল্পবিজ্ঞানের সেই অ্যাকশন ছবিতে শোয়ারজেনেগার একটি ভাবলেশহীন রোবট। এক খুনি সাইবর্গের হাত থেকে যে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেছে সারা কোনরকে। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।