গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হিমাচল রাজ্যের রাজধানী সিমলায় শুরু হয়েছে মৈত্রী সংলাপ। সংলাপের শেষ অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা যান ভারতের পাঞ্জাবে। সেখানে পাঞ্জাবের গভর্নর বনোয়ারিলাল পুরোহিত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা এবং মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানান। রবিবার দুপুরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পাঞ্জাবের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় পাঞ্জাবের গভর্নর বনোয়ারিলাল পুরোহিত বলেন, যেমনিভাবে একাত্তর সালে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল; তেমনিভাবে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই সংলাপ অত্যন্ত সফলতা পেয়েছে। এই সংলাপের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও কয়েকগুণ উন্নত পর্যায়ের যাবে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশেল সম্পর্ক লক্ষনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক সব সময় বজায় থাকবে বলেও জানান তিনি। এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন বনোয়ারিলাল পুরোহিত।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। সে স্বপ্ন তারই কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে টার্গেট নিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মহামারী করোনা কালে দুই দেশের সম্পর্ক তুলে ধরে পাঞ্জাবের গভর্নর বলেন, মহামারী করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক ছিল। বাংলাদেশকে টিকে দিয়ে সহায়তা করেছে ভারত। এর ফলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশটি। আগামীতেও যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের পাশে বন্ধুর মত থাকবে।
এসময় দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, চরমপন্থা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রতিনিধিরা।
সংবর্ধনা এবং মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অংশ নিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান এ এস এম শামসুল আরেফিন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, ভারতের সাবেক হাইকমিশনার তারেক এ করিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।